বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাওরে আর সড়ক নয়: মন্ত্রিসভা

  •    
  • ১৮ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:০৮

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘নির্দেশনা এসেছে হাওরে কোনোভাবেই আর রাস্তাঘাট করা যাবে না। সব এলিভেটেড করতে হবে। পানি প্রবাহে বাধা যেন না থাকে এ জন্য এ সিদ্ধান্ত।

হাওর এলাকায় পানির প্রবাহ ঠিক রাখতে নতুন করে কোনো সড়ক নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সভায় সিদ্ধান্ত হয়, এখন থেকে এই এলাকায় যত সড়ক নির্মাণ করা হবে সবগুলোই হবে উড়াল সড়ক।

সভা শেষে সচিবালয়ে গণমাধ্যমের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।

তিনি বলেন, ‘আজ ক্লিয়ার ইন্সট্রাকশন দেয়া হয়েছে যে, হাওর এলাকাতে কোনো রাস্তাঘাট এখন থেকে আর করা যাবে না। এখন থেকে এলিভেটেড করতে হবে, যদি কিছু হয়। যাতে করে পানি চলাচলে বাঁধা না আসে।

‘পারটিকুলারলি এটা দেখতে বলা হয়েছে, সিলেটের পানিটা মূলত নামে অষ্টগ্রামের দিক দিয়ে। এখানে যে রাস্তাটা করা হয়েছে মিঠামইন থেকে অষ্টগ্রাম, সেটাতে কোনো এফেক্ট হলো কিনা এটাও দেখতে বলা হয়েছে। আমরা নিজেরাও রোডস অ্যান্ড হাইওয়েকে বলেছি, এটা রিভিউ করে প্রতি আধা কিলোমিটার পর পর দেড়শ থেকে দুইশ মিটার ব্রিজ করে দেয়া যায় কিনা।’

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগকে নির্দেশনা এরই মধ্যে দেয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘এখানে এখনও ব্রিজ আছে, তারপরেও তাদের সার্ভে করতে বলা হয়েছে।

‘এই সড়ক যেটা তারা করেছে, সেটার কারণে পানি যদি আটকে যায় তাহলে তারা আধা কিলোমিটার বা আরেকটু লজিক্যাল ডিস্টেনসে, যদি মনে করে এই সড়কটা পানির জন্য বাঁধা তাহলে যাতে পানির ফ্লো ঠিক হয়, এ জন্য আরও পর্যাপ্ত ব্রিজ করে দেয়া যায় কিনা সেটা তারা ঠিক করবে।’

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘বছরে প্রায় ৫ হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয় ওই এলাকায়। কিন্তু ১ থেকে ৬ এপ্রিল হয়েছে ১ হাজার ২শ মিলিমিটারের বেশি। এর ফলে স্বাভাবিকভাবেই উপর থেকে পানি চলে এসেছে। প্রায় ৫ হাজার হেক্টর ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে প্রায় ২ লাখ ৭০ হাজার হেক্টর চাষ হয়। আজকেও ডিসিদের সঙ্গে কথা বলেছি। যদি আর বৃষ্টি না হয় তাহলে ভালো অবস্থায় থাকবে।

‘হাওরে ৩০ এপ্রিলের মধ্যে মোটামুটি সব ধান কাটা হয়ে যায়। এদিকে একটু দেরিতে হয়। হাওরে এপ্রিলের শেষ থেকে মে মাসের প্রথমেই পানি চলে আসে, এটা আমাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। আগামী ৮-১০ দিন যদি বৃষ্টি না হয় আশা করা যায় কোনো ক্ষতি হবে না।’

তিনি বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয় চেষ্টা করছে এখানে আর্লি ভ্যারাইটি সোয়িং করা যায় কিনা। যাতে করে এপ্রিল মাসের ১০-১২ তারিখের দিকেই ধান কেটে ফেলা যায়। পরিকল্পনামন্ত্রী অনুরোধ করেছেন যে বাঁধগুলো দেয়া হয়েছে সেগুলো ফ্রুটফুল কিনা বা কোয়ালিটি ঠিক আছে কিনা এটা দেখতে। এই বর্ষায় তো আর কিছু করা যাবে না। আগামী বর্ষার আগে যেন এটা রিভিউ করে রিম্যাডি করা হয়।

‘আলোচনা হয়েছে যে নদী নালা ও হাওরে যেখানে বেশি পলি পড়ে গেছে সেগুলোকে পুনরায় খনন করে আগামী বর্ষার আগেই প্রকল্প শুরু করে কাজ নেয়ার জন্য। রিসেন্টলি একনেকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের একটি প্রকল্প পাস হয়েছে, যেটি সুনামগঞ্জ থেকে আসবে সেটিও এলিভেটেড হচ্ছে। শুধু হাওর না যেসব এলাকা লো লাইন এলাকা সেগুলোতে যত সড়ক হবে সেগুলো এলিভেটেড হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর