ঘুষ লেনদেনের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে হাইকোর্টের দেয়া দুই মাসের জামিন বহাল রেখেছে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
সোমবার চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
ডিআইজি মিজানের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদকের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
তিনি বলেন, ‘জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করেছিলাম। চেম্বার আদালত আমাদের আবেদনের ওপর শুনানি করে নো অর্ডার দিয়েছে।’
গত ১৩ এপ্রিল বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ ডিআইজি মিজানকে জামিন দেয়।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল খালাস চেয়ে করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে হাইকোর্ট।
ওই দিন আদালতে মিজানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. গিয়াসউদ্দিন আহম্মেদ।
গত ৪ এপ্রিল নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন ডিআইজি মিজান। আপিলে তিনি তিন বছরের সাজা থেকে খালাস চান।
ঘুষ লেনদেনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় গত ২৩ ফেব্রুয়ারি দুদকের বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে আট বছর ও পুলিশের বরখাস্ত হওয়া উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমানকে তিন বছর কারাদণ্ড দেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম।
এর মধ্যে মিজানকে দণ্ডবিধির ১৬১ ধারায় ও বাছিরকে দণ্ডবিধির ১৬৫(এ) ধারায় তিন বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়।
অন্যদিকে মানিলন্ডারিং আইনের ৪ ধারায় বাছিরকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়। পাশাপাশি ৮০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১-এ দুদকের পরিচালক শেখ মো. ফানাফিল্লাহ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ২০২০ সালের ১৯ জানুয়ারি তাদের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন দুদকের এই কর্মকর্তা।