পঞ্চগড়ে পাঁচ দিনেও খোঁজ মেলেনি জন্মের পরই ক্লিনিক থেকে নিখোঁজ এক শিশুর।
বোদা উপজেলার নিরাময় নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে ছেলে শিশুটি নিখোঁজ হয়।
ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানায়, গত ১৩ এপ্রিল দুপুরে মনোয়ারা নামের এক নারী গর্ভবতী কিশোরীকে ভর্তি করেন। তিনি নিজেকে শিশুটির খালা দাবি করেন। ভর্তির এক ঘণ্টা পরই ওই কিশোরীর সিজার করা হয়। সিজার করেন আনোয়ার আলী ও উত্তম কুমার পান্ডে।
জন্মের পরই অন্য চিকিৎসককে দেখানোর কথা বলে মনোয়ারা নবজাতককে নিয়ে যান। এরপর তিনি আর ফেরেননি। কিশোরীর স্বামী বা অন্য কোনো স্বজনেরও এর মধ্যে কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
নবজাতক নিখোঁজের বিষয়টি জানাজানি হলে নিউজবাংলার প্রতিনিধি ক্লিনিকে যান ওই কিশোরীর সঙ্গে কথা বলতে। তবে ক্লিনিকের মালিক উজ্জল সরকার এতে বাধা দেন। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে কিশোরীর সঙ্গে কথা হয়।
ওই কিশোরী নিউজবাংলাকে জানায়, তার বাবার এবং স্বামীর বাড়ি জামালপুরের মাদারগঞ্জ এলাকায়। তার স্বামীর নাম স্মরণ।
তবে তাকে ভর্তির সময় স্বামীর নাম লেখা হয়েছে আমিরুল ইসলাম। ঠিকানা দেয়া হয়েছে জামালপুরের তিতোপাড়ার।
কিশোরী জানায়, তিতোপাড়ায় তার ওই দূর সম্পর্কের খালা মনোয়ারার বাড়ি। স্বামীর অন্য নাম দেয়ার বিষয়টি তার জানা নেই।
উজ্জল বলেন, ‘ওই কিশোরীর খালা নবজাতকের চিকিৎসার কথা বলে ঠাকুরগাঁওয়ে নিয়ে যান। পরে জানতে পেরেছি, শিশুটিকে বিক্রি করা হয়েছে। আমরা তাকে উদ্ধারের আপ্রাণ চেষ্টা করছি। এখন শিশুটি নীলফামারীতে আছে। ক্লিনিকের এক কর্মচারী অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে নীলফামারী গেছেন।’
স্বামীর নাম ও ঠিকানা ভুল দেয়ার বিষয়ে উজ্জল বলেন, ‘মেয়েটির নিকটাত্মীয় তাকে ভর্তি করেছেন। তিনি যে নাম-ঠিকানা বলেছেন, তাই লেখা হয়েছে। প্রকৃত ঘটনা কী আমার জানা নেই। মেয়েটির কিছু শারীরিক জটিলতা থাকায় দ্রুত সিজার করা হয়েছে।’
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, ‘ক্লিনিক থেকে শিশু উধাও হওয়ার খবর পেয়েছি। ক্লিনিকে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ক্লিনিকের মালিক ও কিশোরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। আপাতত ওই কিশোরীকে ছাড়পত্র দিতে নিষেধ করা হয়েছে।’