র্যাবের সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ নিহত হয়েছেন সাংবাদিক মহিউদ্দিন সরকার নাইম হত্যার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি মো. রাজু।
কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার গোলাবাড়ী এলাকায় শনিবার রাত ২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১-এর কোম্পানি কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সাকিব হোসেন।
তিনি জানান, রাজুর মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। এ বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানানো হবে।
কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার হায়দ্রাবাদনগর এলাকায় গত বুধবার রাতে ফোন করে ডেকে নিয়ে সংঘবদ্ধ মাদক কারবারিরা মহিউদ্দিনকে পিটিয়ে ও গুলি করে হত্যা করে। ঘটনার সময় কোনো রকমে প্রাণে বেঁচে ফেরেন মহিউদ্দিনের বন্ধু পলাশ। এসে ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দেন তিনি।
পলাশ বলেন, ‘মাদকের একটি বড় চালান দেশে ঢুকবে, এমন খবর পেয়ে আমি ও মহিউদ্দিন ভাই হায়দ্রাবাদনগর গ্রামে যাই। গ্রামে পৌঁছার এক মিনিটের মধ্যেই অন্তত ৩০ জনের একটি দল আমাদের ঘেরাও করে।
‘এ সময় মাদক কারবারি মো. রাজু কোমর থেকে পিস্তল বের করে মহিউদ্দিন ভাইকে লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি মাটিয়ে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তার মোটরসাইকেলও ভাঙচুর করা হয়। এই ফাঁকে আমি কোনো রকমে পালিয়ে আসি।’
মহিউদ্দিন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ সরকারের ছেলে। তিনি কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় পরিবার নিয়ে থাকতেন।
আনন্দ টিভিতে কাজ করতেন মহিউদ্দিন। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রতিনিধি ছিলেন তিনি। পরে কাজ শুরু করেন কুমিল্লা থেকে প্রকাশিত ‘কুমিল্লার ডাক’ পত্রিকায়।