বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বিপৎসীমায় ধনু, ঝুঁকিতে হাওরের কীর্তনখোলা বাঁধ

  •    
  • ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:০৮

পানি উন্নয়ন বোর্ড নেত্রকোণা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত জানিয়েছেন, নদীর পানি বাড়ায় খালিয়াজুরী, মোহনগঞ্জ ও মদনের হাওরাঞ্চলের অন্তত ২০টি বেড়িবাঁধ আবারও হুমকির মুখে পড়েছে। কোনো কোনো বাঁধের প্রায় সমান সমান হয়ে গেছে নদীর পানি। এ কারণে বাঁধগুলোতে পানির চাপ পড়ছে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের কারণে জেলার হাওরাঞ্চল দিয়ে প্রবাহিত ধনু নদীর পানি প্রবাহ আবারও বেড়েছে। সর্বশেষ পরিমাপে দেখা গেছে, নদীটির পানি প্রায় বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। ফলে আবারও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে খালিয়াজুরীর কীর্তনখোলাসহ বেশকিছু ফসল রক্ষা বাঁধ।

শনিবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নেত্রকোণা কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

প্রকৌশলী জানান, খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর বিপৎসীমা ৪ দশমিক ১৫ মিটার। কিন্তু শনিবার বিকেল ৩টায় পরিমাপ করে দেখা গেছে, সেখানে পানি বেড়ে ৪ দশমিক ১৪ মিটারে পৌঁছে গেছে। অর্থাৎ বিপৎসীমার মাত্র ১ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

ধনু ছাড়াও জেলার কংস, মগড়া, উব্দাখালি ও সোমেশ্বরী নদীর পানিও বেড়েছে।

ওই কর্মকর্তা আরও জানান, ভারতের মেঘালয় ও চেরাপুঞ্জিতে বৃহস্পতিবার থেকে আবারও ভারি বৃষ্টি শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পড়ছে হাওরাঞ্চলের নদীগুলোতে।

এদিকে নদীর পানি বাড়ায় খালিয়াজুরী, মোহনগঞ্জ ও মদনের হাওরাঞ্চলের অন্তত ২০টি বেড়িবাঁধ আবারও হুমকির মুখে পড়েছে। কোনো কোনো বাঁধের প্রায় সমান সমান হয়ে গেছে নদীর পানি। এ কারণে বাঁধগুলোতে পানির চাপ পড়ছে।

বিশেষ করে ধনু নদীর পাড়ে অবস্থিত খালিয়াজুরীর কীর্তনখোলা বাঁধটি খুব বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ বাঁধটির তিনটি ঝুঁকিপূর্ণ অংশ কোনোরকমে বাঁশ, চাটাই প্রভৃতি দিয়ে টিকেয়ে রাখা হয়েছে। এ উপজেলার সিংহভাগ বোরো ফসলই এ বাঁধটির ওপর নির্ভরশীল।

নদ-নদীর পানি বাড়ায় উঠতি বোরো ফসল নিয়ে আবারও দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন হাওর উপজেলাগুলোর হাজারও কৃষক। আবারও কাঁচা এবং আধা পাকা ধান কাটতে শুরু করেছেন তারা।

খালিয়াজুরী উপজেলার কৃষি অফিসার জসীম উদ্দিন বলেন, ‘এই উপজেলার ২০ হাজার ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছিল। এর মধ্যে ৬০ ভাগ ধান কাটা হয়ে গেছে। তবে ব্রি-২৯ ও হাইব্রিড জাতের ধান এখনও পাকেনি। সেগুলো পাকতে আরও সপ্তাহখানেক দরকার। কিন্তু নদ-নদীতে পানি বাড়ায় কৃষকরা কাঁচা ধানই কাটতে শুরু করেছেন। আমরাও দ্রুত ধান কেটে নেয়ার পরামর্শ দিচ্ছি।’

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, ‘ধনু নদের পানি বাড়লেও কোনো বাঁধ এখনও ভাঙেনি। বাঁধ রক্ষায় আমরা স্থানীয়দের নিয়ে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।’

খালিয়াজুরীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এইচএম আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ধনুর পানি বাড়ায় বাঁধে পানির চাপ খুবই বেড়েছে। সমস্যা হচ্ছে কীর্তনখোলা হাওরের বাঁধ নিয়েই। বাঁধের কীর্তনখোলা অংশে ৭ কিলোমিটার নদের তীরে হওয়ায় ঝুঁকি বেশি। আমরা বাঁধটি টিকিয়ে রাখার সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি।’

এ বিভাগের আরো খবর