বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পদ্মার তীর সংরক্ষণ প্রকল্প পরিদর্শনে সেনাপ্রধান

  •    
  • ১৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:০৮

আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পদ্মা সেতুর উজানে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন মাঝিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনে ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

ঢাকার দোহার উপজেলার মাঝিরচর-নারিশাবাজার-মোকসেদপুর পদ্মা নদীর ড্রেজিং ও বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।

শনিবার পরিদর্শনকালে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

সেনাবাহিনীর প্রধান প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি দেখে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং কিছু নির্দেশনা দেন।

শনিবার দুপুরে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) সহকারী পরিচালক রাশেদুল আলম খান সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় পদ্মা সেতুর উজানে ঢাকা জেলার দোহার উপজেলাধীন মাঝিরচর থেকে নারিশাবাজার হয়ে মোকসেদপুর পর্যন্ত পদ্মা নদীর বাম তীর সংরক্ষণ প্রকল্প সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের অধীনে ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে।

প্রকল্পটি ২০১৮ সালের ১০ সেপ্টেম্বর একনেক অনুমোদিত হয়। পরে ২০১৯ সালের এপ্রিলে ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু করা হয়। প্রকল্পের মূল কাজ দুটি: দোহারে পদ্মা নদীর বাম তীর ঘেঁষে ছয় কিলোমিটার বাঁধ প্রতিরক্ষা এবং ১২ দশমিক ২০ কিলোমিটার ড্রেজিং। এরই মধ্যে অতি অল্প সময়েই ২৫ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্যাটালিয়নের সদস্যদের নিরলস প্রচেষ্টায় ছয় কিলোমিটার এলাকায় জিওব্যাগ ডাম্পিং ও প্লেসিংয়ের মাধ্যমে দোহার এলাকাকে পদ্মার ভাঙন থেকে রক্ষা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে ছয় কিলোমিটার স্থায়ী বাঁধ প্রতিরক্ষা কাজের ৩ দশমিক ৪৮ কিলোমিটার কাজ ইতোমধ্যে শেষ হয়েছে। অবিশিষ্ট ২ দশমিক ৫২ কিলোমিটার স্থায়ী প্রতিরক্ষামূলক কাজ চলছে।

আইএসপিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ইনস্টিটিউট অফ ওয়াটার মডেলিংয়ের (আইডব্লিউএম) হাইড্রোলজিক্যাল ও মরফোলজিক্যাল স্টাডির সুপারিশ অনুযায়ী চলতি বছরের গত ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে ১২ দশমিক ২০ কিলোমিটার ড্রেজিং কাজ শুরু হয়েছে। বর্ষা মৌসুমের আগেই প্রকল্পের ৫০ ভাগ ড্রেজিং কাজ শেষ করা হবে এবং অবশিষ্ট ৫০ ভাগ কাজ আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরে বর্ষা মৌসুমের আগেই শেষ হবে বলে আশা করা যায়।

এ ছাড়া আইডব্লিউএমের প্রতিবেদন অনুযায়ী আওরাঙ্গবাদ থেকে শাইনপুকুর পর্যন্ত ১৯ দশমিক ২০ কিলোমিটার প্রিকশনারি নদীর তীর প্রতিরক্ষা কাজ আরডিপিপিতে নতুন করে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়াধীন।

২০২৪ সালের জুনের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজ করছে সেনাবাহিনী।

প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে দোহারে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তোলার পথ সুগম হবে এবং এই অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়।

এ বিভাগের আরো খবর