গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের ছয় জেলায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ২৭ জন। এর মধ্যে ঢাকা জেলাতেই করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৬ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকা বিভাগের নরসিংদী ও গাজীপুরে দুইজন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন। কক্সবাজার জেলায় একজন ও চাঁদপুরে চারজন করোনা শনাক্ত হয়েছেন। এ ছাড়া সিলেটে দুইজন শনাক্ত হয়েছেন।
শুক্রবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, টানা ২১ দিন শনাক্তের সংখ্যা এক শর নিচে। গত ২৫ মার্চ রোগী শনাক্তের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি ছিল। সেদিন দেশে ১০২ জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যাননি। এ নিয়ে টানা চার দিন করোনায় মৃত্যুশূন্য দেশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন মৃত্যু না থাকায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৪ জনেই রয়েছে।
দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ২২৪ জনে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪ হাজার ১৯৩টি নমুনা পরীক্ষায় ২৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৬৪ শতাংশ ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সেরে উঠেছেন আরও ১৮০ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৯০ হাজার ২৬৪ জন সুস্থ হয়ে উঠলেন।
দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। করোনার প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্ত হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর করোনা দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। আর এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।