বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

স্বামীসহ চিকিৎসকের নামে প্রতারণা মামলা

  •    
  • ১৫ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:৪১

মামলার এজাহারে বলা হয়, সাইফুল শেয়ারের টাকা দেয়ার কাগজপত্র দাবি করলে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করা হয়। একপর্যায়ে চার মাসের বেতন না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়। এরপর বেতনসহ শেয়ারের নামে নেয়া টাকা ফেরত চাইলে নার্গিস ও মামুন তাকে ফোনে ও ফেসবুকে প্রাণনাশের হুমকি দেন।

লক্ষ্মীপুরে স্বামীসহ এক চিকিৎসকের নামে প্রতারণার মামলা আমলে নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।

অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম চন্দ্রগঞ্জ আমলি আদালতের বিচারক সাইফুল ইসলাম বৃহস্পতিবার দুপুরে মামলাটি আমলে নেন।

বাদীর আইনজীবী বেলাল হোসেন শুক্রবার নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে বুধবার গাইনি বিশেষজ্ঞ নার্গিস পারভীন ও তার স্বামী মাজহারুল ইসলাম মামুনকে আসামি করে প্রতারণার মামলা করেন চন্দ্রগঞ্জ থানার দাউদপুর গ্রামের সাইফুল ইসলাম।

মামলার এজাহারে বলা হয়, নার্গিস লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রের গাইনি বিশেষজ্ঞ। হাসপাতাল রোডে গাইনি কেয়ার নামে তার একটি প্যাথলজি সেন্টার আছে। ২০২০ সালের ১ অক্টোবর তিনি সেখানে ২০ হাজার টাকা বেতনে সাইফুল ইসলামকে পাবলিক রিলেশন অফিসার পদে চাকরি দেন।

এরপর তাকে পুরো বেতন না দিয়ে প্যাথলজির মালিকানার শেয়ার দেয়ার কথা বলে ১ লাখ টাকা কেটে নেন এবং সাইফুলের কাছ থেকে আরও ২ লাখ টাকা নেন। পরে তাকে টাকা দেয়ার কাগজপত্র না দিয়ে নানা রকম টালবাহানা করতে থাকেন।

এজাহারে আরও বলা হয়, সাইফুল কাগজপত্র দাবি করলে তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করা হয়। একপর্যায়ে চার মাসের বেতন না দিয়ে চাকরিচ্যুত করা হয়। বেতনসহ শেয়ারের নামে নেয়া টাকা ফেরত চাইলে নার্গিস ও মামুন তাকে ফোনে ও ফেসবুকে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এরপর বুধবার সাইফুল আদালতে মামলা করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, প্যাথলজি পরিচালনার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের লাইসেন্স বাধ্যতামূলক হলেও গাইনি কেয়ারের কোনো লাইসেন্স নেই। সদ্য বিদায়ী সিভিল সার্জন আব্দুল গাফফার একবার এই প্যাথলজি বন্ধ করেও দিয়েছিলেন।

লক্ষ্মীপুর পৌরসভার দেয়া তথ্য অনুযায়ী, দুই বছর আগে নার্গিস পৌরসভা থেকে তার মা ফাতেমা খাতুনের নামে ট্রেড লাইসেন্স নিয়েছিলেন। তিনি এই প্যাথলজির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে সব কাগজে সই করেন। পরে লাইসেন্স নবায়ন করেননি।

সাইফুলের আইনজীবী বেলাল নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে ১৫ জুনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে।’

এ বিষয়ে কথা বলার জন্য নার্গিসকে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি ধরেননি।

এ বিভাগের আরো খবর