বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

পুলিশি নির্যাতনে মৃত্যুর অভিযোগ: মহাসড়ক অবরোধ

  •    
  • ১৫ এপ্রিল, ২০২২ ১২:১৪

রবিউলের ভাতিজি লিপি খাতুন বলেন, ‘কী কারণে পুলিশ রবিউলকে মারল? আমরা এর বিচার চাই। আমাদের বাচ্চার লাশ এখনও কীসের জন্য দেয় নাই? কী কারণে পুলিশ উল্টা আমাদের বিচার করতিছে? আমরা তার বিচার চাই।’

লালমনিরহাটে পুলিশি নির্যাতনে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগে এসআইয়ের বিচারের দাবিতে আবারও মহাসড়ক অবরোধ করেছে স্বজন ও স্থানীয় লোকজন।

সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর বাজারের পাশে ঢাকা-বুড়িমারী মহাসড়ক শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে তারা অবরোধ করেন। এতে বেশ কিছু যানবাহন আটকা পড়েছে।

৩০ বছর বয়সী মৃত রবিউল ইসলামের ভাতিজি লিপি খাতুন বলেন, ‘কী কারণে পুলিশ রবিউলকে মারল? আমরা এর বিচার চাই। আমাদের বাচ্চার লাশ এখনও কীসের জন্য দেয় নাই? কী কারণে পুলিশ উল্টা আমাদের বিচার করতিছে? আমরা তার বিচার চাই।’

স্থানীয় হারুন মিয়া বলেন, ‘সে কোনো অন্যায় করেনি। কেন তাকে বিনা দোষে থানায় নিয়ে গেল? থানা থেকে তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেল। হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়নি। তাকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।

‘সেই এসআই কে? কেন সে মারল? রবিউল একটা নিরীহ ছেলে। তার একটা আট মাসের বাচ্চা আছে। এখন তার পরিবারের দায়িত্ব নিবে কে? আমরা সরকারের কাছে রবিউল হত্যার সঠিক বিচার চাই।’

প্রতিবেশী আশরাফুল খান সবুজ বলেন, ‘আমরা পুলিশ কর্মকর্তা হালিমের বিচার চাই। সেই রবিউলকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে। আমরা হালিমের ফাঁসি চাই।’

এর আগে পুলিশি হেফাজতে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বৃহস্পতিবার রাত ৪টার দিকে রবিউল ইসলাম নামের এক কাঠমিস্ত্রির মৃত্যু হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, কাজীর চওড়া গ্রামে জুয়া খেলার আসরে অভিযান চালিয়ে রাত ৩টার দিকে রবিউল ও প্রল্লাদ চন্দ্র রায়কে আটক করে পুলিশ। থানায় নেয়ার পথে রবিউল স্ট্রোক করলে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হালিম তাকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা চলা অবস্থায় রবিউলের মৃত্যু হয়।

জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নূর আলম নিউজবাংলাকে জানান, স্ট্রোকের কারণে রবিউলের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।

তবে রবিউলের মা সাফিয়া বেগমের অভিযোগ, আটকের পর তার ছেলেকে পিটিয়ে, নির্যাতন করে হত্যা করেছে পুলিশ। তিনি এ হত্যার বিচার দাবি করেন।

রবিউলের মৃত্যুর পর রাতেই স্থানীয় লোকজন লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। তারা এসআই হালিমের বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরই পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়।

এ বিভাগের আরো খবর