লালমনিরহাটে সদর থানা পুলিশের হেফাজতে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, তাকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে বৃহস্পতিবার রাত ৪টার দিকে রবিউল ইসলাম নামের ওই যুবকের মৃত্যু হয়।
৩০ বছর বয়সী রবিউলের বাড়ি লালমনিরহাট সদর উপজেলার হারাটি ইউনিয়নের কাজীর চওড়া গ্রামে। তিনি কাঠমিস্ত্রি ছিলেন।
তার মৃত্যুর পর লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন স্থানীয় লোকজন।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম জানান, কাজীর চওড়া গ্রামে জুয়া খেলার আসরে অভিযান চালিয়ে রাত ৩টার দিকে রবিউল ও প্রল্লাদ চন্দ্র রায়কে আটক করে পুলিশ। থানায় নেয়ার পথে রবিউল স্ট্রোক করলে সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. হালিম তাকে সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসা চলা অবস্থায় রবিউলের মৃত্যু হয়।
জরুরি বিভাগের চিকিৎসক নূর আলম নিউজবাংলাকে জানান, স্ট্রোকের কারণে রবিউলের মৃত্যু হয়েছে। তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই।
তবে রবিউলের মা সাফিয়া বেগমের অভিযোগ, আটকের পর তার ছেলেকে পিটিয়ে, নির্যাতন করে হত্যা করেছে পুলিশ। তিনি এ হত্যার বিচার দাবি করেন।
রবিউলের মৃত্যুর পর স্থানীয় লোকজন লালমনিরহাট-রংপুর মহাসড়ক অবরোধ করেন। তারা এসআই হালিমের বিচারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পরই পুলিশ তাদের বুঝিয়ে সরিয়ে দেয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, রবিউলের মরদেহ সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর হস্তান্তর করা হবে। হাসপাতালে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা আছে।