সন্ধ্যার পর একটি ব্রিজ পার হতে গিয়ে মুখোশধারী দুর্বৃত্তদের কবলে পড়েছেন অন্তত পাঁচ জন। আশেপাশে পুলিশ টহল থাকলেও গণছিনতাইয়ে জড়িত কাউকে তারা গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
ঘটনাটি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর ব্রিজের। এ সময় নগদ ৫০ হাজার টাকাসহ দুই লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
কোষাঘাটা গ্রামের মুরগি ব্যবসায়ী জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘পহেলা বৈশাখের সন্ধ্যায় মুরগি বিক্রি শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। বিষ্ণুপুর ব্রিজ পার হতে গেলে ৪-৫ জন লোক রাস্তা আটকায়। তারা আমার কাছে থাকা মুরগি বিক্রির ৪০ হাজার টাকা কেড়ে নেয়। মুখোশ পরা লোকদের হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল।’
একই সময়ে লুটের শিকার বিষ্ণুপুর গ্রামের ভবেশ কর্মকার বলেন, ‘চুয়াডাঙ্গা থেকে জরুরি কাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলাম। বিষ্ণুপুর ব্রিজের কাছে আমার গতিরোধ করে কয়েকজন। তারা অস্ত্র দেখিয়ে পকেটে থাকা ৩ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়।’
তিনি জানান, একই সময়ে বিষ্ণুপুর গ্রামের মালয়েশিয়া প্রবাসী আলমগীর হোসেনের স্ত্রী, তার ভাই আল আমিনের স্ত্রী ও কন্যা ডাকাত দলের কবলে পড়েন। তারা নগদ টাকা, কানের দুল, রুলি বালা ও স্বর্ণের চেইন কেড়ে নেয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, একই ব্রিজে বেশ কয়েকবার ছিনতাই ও ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। আশেপাশে পুলিশ টহল থাকলেও ব্রিজের দিকে নজর দেয়া হয় না। বিশেষ করে গরু ব্যবসায়ীরা টাকা লুটের শিকার হয়েছেন কয়েকবার। ঈদের আগে ব্রিজসহ আশেপাশের এলাকায় টহল বাড়ানোর দাবি জানান তারা।
দামুড়হুদা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, ‘অনেকে ডাকাতির কথা বললেও তা সত্য নয়। ঝড়-বৃষ্টির মধ্যে ২-৩ জন মুখোশধারী ছিনতাই করেছে বলে শুনেছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি।’