বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বাবার হাত ধরেই শেষ শয্যায় তাসকিয়া

  •    
  • ১৪ এপ্রিল, ২০২২ ২০:২৮

জানাজা শেষে তাসকিয়ার বাবা আবু জাহের বলেন, ‘আমার একমাত্র কন্যাসন্তান তাসকিয়া। আর কোনো ছেলেমেয়ে নেই। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আজ আমার মেয়েকে জীবন দিতে হলো। আমি আমার ডান চোখ হারিয়েছি। খুনিদের ফাঁসি চাই।’

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে সন্ত্রাসীদের গুলিতে বাবার কোলে নিহত তাসকিয়া আক্তার জান্নাতকে দাফন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগে হাজীপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের রাসাদ মিয়ার বাড়ির উঠানে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

তাসকিয়ার বাবা মাওলানা আবু জাহের নিজেই মেয়ের জানাজা পড়ান।

এ সময় হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আজিম মির্জাসহ নিহত শিশুর স্বজন ও এলাকার কয়েক শ লোক উপস্থিত ছিলেন।

জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

জানাজা শেষে তাসকিয়ার বাবা আবু জাহের বলেন, ‘আমার একমাত্র কন্যাসন্তান তাসকিয়া। আর কোনো ছেলেমেয়ে নেই। অন্যায়ের প্রতিবাদ করায় আজ আমার মেয়েকে জীবন দিতে হলো। আমি আমার ডান চোখ হারিয়েছি। খুনিদের ফাঁসি চাই।’

হাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহ আজিম মির্জা বলেন, ‌‌‘আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশ প্রশাসনকে সহযোগিতা করা হচ্ছে। ন্যায়বিচারের বিষয়ে এলাকাবাসী ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।’

বুধবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বাড়ির পাশে ডোবায় বাবার সঙ্গে মাছ ধরে তাসকিয়া। বেলা সাড়ে ৩টায় বাবার কাছে বায়না ধরে চকোলেট আর চিপস কিনে দেয়ার।

বাবার সঙ্গে পাশের দোকানে চকোলেট কিনতে গিয়ে নিহত হয় সে। সন্ত্রাসীদের গুলিতে তার মাথা, মুখসহ পুরো শরীর ঝাঁঝরা হয়ে যায়।

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী দোকানি আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘দুর্গাপুর ইউনিয়নের লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের রিমন, মহিন, রহিম, আকবর, সুজনসহ ১৫-২০ সন্ত্রাসী আমার দোকানে আসে। তারা আবু জাহের ও তার মেয়েকে লক্ষ্য করে প্রথম এক রাউন্ড গুলি করে।

‘গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে শিশুকন্যাকে ইট দিয়ে আঘাত করে। একপর্যায়ে তারা দোকান থেকে বের হয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় পেছন থেকে রিমন পুনরায় আরও দুই রাউন্ড গুলি করে। এতে লুটিয়ে পড়ে বাবা-মেয়ে।’

শিশুর খালু হুমায়ুর কবির বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৭ জনকে আসামি করে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেছেন।

ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এরই মধ্যে তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক বলেন, ‘মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অপারেশন) দীপক জ্যোতি খিসা বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।’

এ বিভাগের আরো খবর