বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

বৃহস্পতিবারের মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে: কর্তৃপক্ষ

  •    
  • ১৩ এপ্রিল, ২০২২ ১৮:৫৮

স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, ‘ক্রমানুসারে সকাল থেকে যে সব ট্রেনগুলো যেতে পারেনি, আস্তে আস্তে আমরা সে ট্রেনগুলো ছাড়ব। আজকে আমরা যে ট্রেনগুলোর ইঞ্জিন আগে পাব, সে ট্রেনগুলো আগে ছাড়ব। আশা করছি আগামীকালের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।’

রানিং স্টাফদের কর্মবিরতির পর রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেন ছেড়ে গেলেও যাত্রী ছিল খুবই কম। তবে যাত্রী সংখ্যা বাড়বে বলে আশা কমলাপুর রেলস্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ারের।

কর্মবিরতির পর তিনি সাংবাদিকদের জানান, তাদের প্রত্যাশা বৃহস্পতিবার মধ্যে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে।

বুধবার ভোর ৬টা থেকে রেলের রানিং স্টাফরা তাদের পেনশন ভাতার দাবিতে কর্মবিরতিতে গেলে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরে দুপুরে রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন তাদের দাবি মেনে নিলে কর্মবিরতি প্রত্যাহার করেন স্টাফরা।

রেলওয়ের একজন চালককে দিনে গড়ে ১৪ থেকে ১৮ ঘণ্টা ট্রেন চালাতে হয়। এ জন্য তাদের বাড়তি মজুরি ও পেনশনে ৭৫ শতাংশ ভাতা দেয়া হয়।

বেতনের বাইরেও চালকরা যত মাইল দায়িত্ব পালন করেন এবং অতিরিক্ত সময় কাজ করেন, তার জন্য নির্দিষ্ট হারে ভাতা পান। এটা রেলে ‘মাইলেজ ভাতা’ হিসেবে পরিচিত।

সম্প্রতি রেলের অতিরিক্ত এ সুযোগ-সুবিধা কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল অর্থ মন্ত্রণালয়। এতে ক্ষুব্ধ হন ট্রেনের চালক ও রানিং স্টাফরা।

কর্মবিরতি শেষে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রানিং স্টাফরা তাদের কাজে ফিরে গেছেন। এতে সারা দেশে যে ট্রেনগুলো ছিল সেগুলোর চলাচল শুরু করেছে। কমলাপুরে স্টাফরা কাজে যোগ দিয়েছেন।’

কর্মবিরতির কারণে কিছুটা সিডিউল ভোগান্তি হবে বলে স্বীকার করেন তিনি। বলেন, ‘ক্রমানুসারে সকাল থেকে যে সব ট্রেনগুলো যেতে পারেনি, আস্তে আস্তে আমরা সে ট্রেনগুলো ছাড়ব। আজকে আমরা যে ট্রেনগুলোর ইঞ্জিন আগে পাব, সে ট্রেনগুলো আগে ছাড়ব। আশা করছি আগামীকালের মধ্যে সব ঠিক হয়ে যাবে।’

কর্মবিরতির পর যাত্রী সংখ্যা কম কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘যাত্রী সংখ্যা বাড়বে। আমরা স্বাভাবিকভাবেই যাত্রীদের টিকিট ফেরত দিয়ে দিয়েছি। যেহেতু ট্রেন ছাড়তে দেরি হচ্ছিল।’

কর্মবিরতি শেষে রেলের রানিং স্টাফরা কাজে যোগ দেয়ার ঘোষণা দিলেও তেমন যাত্রী চোখে পড়েনি। এর কারণ হিসেবে কমলাপুর থেকে সিলেটগামী পারাবত এক্সপ্রেসের কর্মচারী রতন মিয়া নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এটা ভোরের ট্রেন ছিল। যেহেতু অনিদিষ্টকালের ধর্মঘট ছিল, অনেকেই টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে চলে গেছেন। তাই এখন কাউন্টারে পর্যাপ্ত টিকিট রয়েছে।’

ধর্মঘটের পর পারাবত এক্সপ্রেস ট্রেনটি প্রথম কমলাপুরের প্লাটফর্ম থেকে ছাড়া কথা জানায় রেল সংশ্লিষ্টরা।

সোনিয়া আক্তার কমলাপুর রেলস্টেশনে থেকে মহানগর এক্সপ্রেসে যাবেন চট্টগ্রাম। ধর্মঘট শেষে তিনি সাংবাদিকদের জানান, ‘সকাল ৬টায় স্টেশনে এসেছি, কিন্তু যখন দেখলাম কর্মবিরতি তখন টিকিট ফেরত দিয়ে টাকা নিয়ে আসছি। এখন আবার নতুন করে টিকিট করব।’

ইডেল মহিলা কলেজের ছাত্রী সোহানা একতা এক্সপ্রেসে টিকিট করেছেন। ট্রেন ছাড়ার কথা ছিল সকাল ১০টায়। দুপুর ১২টার দিকে জানানো হয়, ট্রেন যাবে না। তিনি টিকিটের টাকা ফেরত নিয়ে এসেছেন বলে জানান।

এ বিভাগের আরো খবর