করোনাভাইরাসে আরও একটি মৃত্যুহীন দিন দেখল দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়ে কারও মৃত্যু হয়নি।
গত সোমবার তার আগের ২৪ ঘণ্টায় একজনের মৃত্যুর সংবাদ জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর আগে টানা ছয় দিন কোনো মৃত্যু হয়নি। করোনার তৃতীয় ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসার পর মার্চে টানা মৃত্যুহীন দিন দেখতে থাকে দেশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন রোগী পাওয়া গেছে ৩১ জন, গতকালের তুলনায় শনাক্ত কিছুটা বেড়েছে। গতকাল দেশে ২২ জনের করোনা শনাক্তের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, যা গত দুই বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বুধবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়। এ নিয়ে টানা ১৯ দিন শনাক্তের সংখ্যা ১০০-র নিচে থাকল। গত ২৫ মার্চ রোগী শনাক্তের সংখ্যা ১০০-র বেশি ছিল। সেদিন দেশে ১০২ জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন মৃত্যু না থাকায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৪ জনে রয়েছে।
বুধবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫ হাজার ৩৮৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৩১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। এ নিয়ে দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ১৬২ জনে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৮ শতাংশ। গতকাল শনাক্তের হার ছিল শূন্য দশমিক ৩৮ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ২৭৪ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ৮৭৯ জন সুস্থ হয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীদের মধ্যে ২৪ জনই ঢাকা বিভাগের। আর তারা সবাই ঢাকা জেলার।
দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। করোনার প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্ত হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর করোনা দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। তবে তৃতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ছিল তুলনামূলক কম। আর এই ঢেউ নিয়ন্ত্রণেও আসে তুলনামূলক দ্রুত।