আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ভোলা সদরের রাজাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য হেলাল ও পরাজিত সদস্য কবির গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
সংঘর্ষে দুজন গুলিবিদ্ধসহ ৬ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ্যামপুরের ক্লোজার বাজার এলাকায় বুধবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ মিন্টু দেওয়ান, আলী শিয়ালী ও রুবেল নামে ৩ জনকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করেছে। নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনায়েত হোসেন।
আহতদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন কবির মঞ্জু ও আনোয়ার গাজী। এছাড়া নুর নবী শিয়ালী ও সাত্তার বেপারিসহ আরও ৪ জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে ওসি জানান, আধিপত্য নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই হেলাল ও কবিরের সমার্থকদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এর জেরে আজ সকালে ক্লোজার বাজারে দুই গ্রুপের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়।
একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এ সময় হেলালের গ্রুপের লোকজনের গুলিতে কবির মেম্বার গ্রুপের দুইজন বিদ্ধ হয়। এ ছাড়া আরও ৪ জন আহত হয়।গুলিবিদ্ধ কবির মঞ্জু বলেন, ‘গত বুধবার আমার ভাইয়ের সঙ্গে হেলালের ঝামেলা হয়। ওই ঘটনায় মঙ্গলবার আমার ভাই ভোলা সদর থানায় একটি মামলা করেন। মামলার জেরে আজ সকালে ক্লোজার বাজারে মসজিসের সামনে বেরিকেট দিয়ে মিন্টু দেওয়ান, আলী শিয়ালী, তাহের ও রুবেলসহ ১০ থেকে ১৫ জন আমাদের উপর এলোপাতাড়ি গুলি করে এবং বগিদা ও রামদা দিয়ে কোপাতে থাকে।’গুলিবিদ্ধ আনোয়ার গাজী বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বাজারে যাওয়ার সময় গুলির শব্দ শুনে সামনে এগিয়ে যাই। দেখি, কবির মঞ্জুর উপর হেলালের লোকেরা গুলি করছে ও দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছে।
‘পরে কবির মঞ্জুকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে আমার পায়েও গুলি করা হয়।’
তবে হেলাল মেম্বার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমরা এ ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত না। আমাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।’
ওসি এনায়েত হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে এক ঘণ্টার চেষ্টায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে ওই এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’