বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

নোংরা খাবার রাখায় সাজা, হোটেল-বেকারি বন্ধ

  •    
  • ১২ এপ্রিল, ২০২২ ২১:২৫

ভ্রাম্যমাণ আদালত মঙ্গলবার বিকেলে শহরে অভিযান চালিয়ে হোটেল রোজ ও হোটেল গাওসিয়াকে ৩ লাখ টাকা করে জরিমানা করে। অনাদায়ে রোজের ম্যানেজার রুবেল হোসেন ও গাওসিয়ার ম্যানেজার পলাশ চৌধুরীকে ১ বছর করে কারাদণ্ড দেয়।

ঠাকুরগাঁওয়ের অস্বাস্থ্যকর খাবার রাখার দায়ে দুই হোটেলের ম্যানেজারকে জেল-জরিমানা দেয়ায় অনির্দিষ্টকালের জন্য জেলার সব খাবার দোকান বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে একাত্মতা জানিয়েছে হোটেল রেস্তোরা মালিক সমিতি।

নিউজবাংলাকে এ তথ্য মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিশ্চিত করেছেন হোটেল শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি জয়নাল আবেদিন।

তিনি জানান, ভ্রাম্যমাণ আদালত মঙ্গলবার বিকেলে শহরে অভিযান চালিয়ে হোটেল রোজ ও হোটেল গাওসিয়াকে ৩ লাখ টাকা করে জরিমানা করে। অনাদায়ে রোজের ম্যানেজার রুবেল হোসেন ও গাওসিয়ার ম্যানেজার পলাশ চৌধুরীকে ১ বছর করে কারাদণ্ড দেয়।

জয়নাল বলেন, ‘আমরা গরীব হোটেল শ্রমিক। দিন রোজগার করি দিন খাই। আমাদের উপর জেল জুলুম কেন? আমাদের মালিকদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে হোটেলে কাজে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের ভাইদের নিঃশর্ত মুক্তি না দেয়া পর্যন্ত আমরা আর কাজে যাব না। কোনো হোটেলে কাজ করব না।’

হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি অতুল কুমার পাল বলেন, ‘নিরাপদ খাদ্য আইনে তুচ্ছ ভুলের কারণে হোটেল রোজ ও গাওসিয়াকে ৩ লাখ করে ৬ লাখ টাকা জরিমানা করেন চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। হোটেল দুটির ম্যানেজারকে ১ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। এ কারণে কর্মবিরতি দিয়েছেন শ্রমিকরা। তারা হোটেলে না আসলে হোটেল খোলা রাখা আর বন্ধ রাখা সমান কথা। আমরা তাদের সিদ্ধান্তে একাত্মতা প্রকাশ করছি।’

কী কারণে সাজা দেয়া হয়েছে জানতে চাইলে রোজ হোটেলের মালিক আবুল কাশেম বলেন, ‘শহরের সুপরিচিত ও রুচিশীল হোটেল রোজ। এখানে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এসে ফ্রিজে আধা কেজি ওজনের একটি আটার খামির দেখে সেটিকে ময়লা দাবি করে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। আমার ম্যানেজারকে ১ বছরের সাজা দেন। আমি মনে করি এ রায় অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।’

গাওসিয়া হোটেলের মালিক ওয়াসিম আকরাম বলেন, ‘একটি দইয়ের বাটির উপর সামান্য পানি জমেছিল আমার হোটেলে। সেটিকে কেন্দ্র করে ৩ লাখ টাকা জরিমানা ও ম্যানেজারকে এক বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। আমরা আমাদের জরিমানা মওকুফসহ দুই হোটেলের ম্যানেজারের মুক্তি দাবি করছি।’

ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায়ের পরপরই ক্ষিপ্ত হয়ে দুই হোটেলের অর্ধশত শ্রমিক জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ ও চৌরাস্তা ট্রাফিক মোড়ে রাস্তায় খাবার ফেলে প্রতিবাদ করেন।

এ বিষয়ে চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিত্যানন্দ সরকার জানান, নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ এর অধীনে বিশুদ্ধ খাদ্য আদালত পরিচালনা করা হয় মঙ্গলবার বিকেলে। সে সময় অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা খাবার রাখার দায়ে ওই দুই হোটেলকে জরিমানা ও ম্যানেজারদের সাজা দেয়া হয়।

তিনি জানান, দুই ম্যানেজারকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে, জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।

এ বিভাগের আরো খবর