শরীয়তপুরের জাজিরায় স্কুলছাত্র শাকিল মাদবরকে অপহরণের পর হত্যার দায়ে দুই আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। খালাস দেয়া হয়েছে চারজনকে।
শরীয়তপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক আব্দুস সালাম খান মঙ্গলবার দুপুরে এ রায় দেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
দণ্ডিতরা হলেন জাজিরার হাজী মমিন আলী ফরাজী কান্দি গ্রামের মজিবর মাদবরের ছেলে সাকিব মাদবর বাবু ও মাজদ ঢালী কান্দি গ্রামের আব্দুল খালেক মোড়লের ছেলে ইমরান মোড়ল।
খুন হওয়া শাকিল মাদবর জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা হাজী কালাই মোড়ল কান্দির এলাকার সালাম মাদবরের বড় ছেলে। সে অ্যাম্বিশন কিন্ডার গার্টেন অ্যান্ড হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল।
মামলার এজাহার অনুযায়ী, ২০২০ সালের ২৫ জুন বিকেলে শাকিলকে খেলার কথা বলে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে যায় সাকিব। স্থানীয় আক্তার মাদবর, সজিব মাঝি, ইমরান মোড়ল, মহসিন হাওলাদার ও স্বপন সরদারের সহযোগীতায় শাকিলকে অপহরণ করে উপজেলার মোসলেম ঢালীর কান্দি গ্রামের বারেক মৃধার বাড়ির পাশে আটকে রাখে সাকিব।
২৬ জুন সকাল ৯টার দিকে শাকিলের চাচার মোবাইলে ফোন দিয়ে ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা। বিষয়টি পুলিশকে জানালে এদিন বিকেলেই অভিযুক্ত সাকিবকে আটক করে জাজিরা থানা পুলিশ। পরে তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী জাজিরার পশ্চিম নাওডোবা এলাকা থেকে বালুর নিচে চাপা দেয়া অবস্থায় শাকিবের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আইনজীবী ফিরোজ আহমেদ বলেন, ‘মামলায় সাতজন আসামি ছিলেন। এর মধ্যে আদালত সাকিব মাদবর বাবু ও ইমরান মোড়ল নামের দুই আসামিকে ফাঁসির রায় দিয়েছে। খালাস দেয়া হয়েছে চার জনকে। আর আসামি বাবু ফরাজীর আইনজীবী হাইকোর্টে আপিল করায় তার মামলার কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত আদেশ শেষ হলে তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণা করা হবে।’
আসামি পক্ষের আইনজীবী মিলন রহমান মুরাদ বলেন, ‘আসামি ইমরান মোড়লের বিপক্ষে যে রায় হয়েছে, তা সম্পূর্ণ তার প্রতি অবিচার করা হয়েছে। ১৬৪ ধারা জবানবন্দিতে সে কোথাও বলেনি যে, সে হত্যার সঙ্গে জড়িত ছিল।’
তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট কোনো প্রমাণ নেই দাবি করে তিনি বলেন, ‘আমরা মামলাটি নিয়ে উচ্চ আদালতে যাব।’