গীতিকার ও সুরকার শফিক তুহিনের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনসহ বিচারিক কাজ স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
বিচারপতি আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেয়।
আদালতে আসিফের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মঈন ফরাজী। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সামিরা তারান্নুম মিতি। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল।
গীতিকার ও সুরকার শফিক তুহিনের করা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের মামলায় কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে গত ১৩ জানুয়ারি অভিযোগ গঠন করে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক।
পরে অভিযোগ গঠন ও মামলার কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন আসিফ আকবর।
২০১৮ সালের ৪ জুন আসিফের নামে মামলা করেন শফিক।
মামলায় বলা হয়, ২০২০ সালের ১ জুন আনুমানিক রাত ৯টার দিকে চ্যানেল ২৪-এর ‘সার্চ লাইট’ নামে একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে আসিফ আকবরের অপকর্মের নানা তথ্য জানা যায়। তিনি অনুমতি ছাড়াই বাদীসহ অন্য গীতিকার, সুরকার ও শিল্পীদের ৬১৭টি গান বিক্রি করে দিয়েছেন।
পরে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করে জানা যায়, আসিফ আকবর আর্ব এন্টারটেইনমেন্টের চেয়ারম্যান হিসেবে অন মোবাইল প্রাইভেট লিমিটেড কনটেন্ট প্রোভাইডার, নেক্সনেট লিমিটেড, গাক মিডিয়া বাংলাদেশ লিমিটেড ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে গানগুলো ডিজিটাল রূপান্তরের মাধ্যমে ওয়াপ-২, রিংটোন, পিআরবিটি, ফুলট্রেক, ওয়াল পেপার, অ্যানিমেশন, থ্রি-জি কনটেন্ট ইত্যাদি বাণিজ্যিক ব্যবহার করে অসাধুভাবে ও প্রতারণার মাধ্যমে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন।
এজাহারে আরও বলা হয়, এসব ঘটনার পর গত ২ জুন রাত ২টা ২২ মিনিটে শফিক তুহিন অনুমোদন ছাড়া গান বিক্রির কথা উল্লেখ করে তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট দেন। ওই পোস্টের নিচে আসিফ আকবর নিজের একটি অ্যাকাউন্ট থেকে অশালীন মন্তব্য ও হুমকি দেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের আলোচিত এ মামলার বিচারিক কাজ সোমবার স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।