এক সপ্তাহ পর করোনাভাইরাসে শনাক্ত হয়ে আবারও মৃত্যু দেখল দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। গত ৪ এপ্রিল করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ সময়ের মধ্যে সারা দেশে ৪৪ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন, এর আগের দিন নতুন রোগী ছিল ৪২ জন। এ নিয়ে টানা ১৭দিন শনাক্তের সংখ্যা এক শর নিচে থাকল। গত ২৫ মার্চ রোগী শনাক্তের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি ছিল। সেদিন দেশে ১০২ জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ১০৯ জনে। সোমবার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৬ হাজার ২৩৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৪৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭১ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ৫৯০ জন। তাদের নিয়ে এপর্যন্ত ১৮ লাখ ৮৯ হাজার ২৩০ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীদের মধ্যে ৩৭ জনই ঢাকা বিভাগের। আর তাদের মধ্যে ৩৩ জন ঢাকা জেলার।
এক সপ্তাহে মৃত্যু কমেছে ৭৫ শতাংশ এক সপ্তাহের ব্যবধানে দেশে করোনায় মৃত্যু কমেছে ৭৫ শতাংশ। আর নতুন রোগী শনাক্ত কমেছে প্রায় ২৩ দশমিক ৯ শতাংশ। এ সময়ে পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হারও কমেছে। এক সপ্তাহ ব্যবধানে করোনা শনাক্তের হার কমেছে প্রায় ৩৯.৫ শতাংশ।
দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। করোনার প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্ত হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর করোনা দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। স্বস্তির খবর হলো করোনার তৃতীয় ঢেউও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।