দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে গত ২২ মার্চ সপরিবারে দেশে ফেরেন মোহাম্মদ রায়হান নামের এক যুবক। এ সময় নিজের নোটবুকে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে নিয়ে আসেন বিপুল পরিমাণ অবৈধ মাদক এলএসডি (লাইসার্জিক অ্যাসিড ডাইইথ্যালামাইড)।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের স্ক্যানিং ও পুলিশের নজর এড়িয়ে মাদকের এই চালান নিয়ে তিনি নির্বিঘ্নে বেরিয়ে আসেন। এরপর শুরু করেন ডিজিটাল পদ্ধতিতে এলএসডি বিক্রি। অবশেষে র্যাবের গোয়েন্দা জালে ধরা পড়েছেন এই মাদক কারবারি।
এলএসডির ক্রেতা সেজে শনিবার রাতে রাজধানীর কদমতলী থানার মাতুয়াইল থেকে রায়হানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১০। এ সময় তার কাছ থেকে এলএসডি মিশ্রিত ৯৬ পিস রঙিন প্রিন্টেড ব্লট পেপার স্ট্রিপ, তিনটি ক্রেডিট কার্ড, দুটি ডেবিট কার্ড, একটি ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স, একটি দক্ষিণ আফ্রিকার ড্রাইভিং লাইসেন্স, একটি বাংলাদেশি পাসপোর্ট ও একটি নোটবুক জব্দ করা হয়।
রোববার বিকেলে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন র্যাব-১০ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মাহফুজুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘রায়হান দক্ষিণ আফ্রিকায় ট্যাক্সি ড্রাইভার ও ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত ছিল। গত ২২ মার্চ সে দেশে আসে। সঙ্গে ব্যাগের ভেতর থাকা নোটবুকে অভিনব কায়দায় নিয়ে আসে এলএসডি। সে দেশে এসে ডিজিটাল পদ্ধতিতে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মাদকের কারবার চালিয়ে যাচ্ছিল।
‘রায়হান ২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা যায়। বিদেশে বসে সে এলএসডি সংগ্রহ করে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বাংলাদেশে পাঠাতো। দীর্ঘদিন পর বিদেশ থেকে ফেরার সময় সে প্রায় ২০০টি এলএসডি ব্লট পেপার স্ট্রিপ সঙ্গে আনে। এর মধ্যে গত কিছুদিনে ১০৪টি বিক্রি করে। ৯৬টি এলএসডি ব্লট পেপার স্ট্রিপ আমরা উদ্ধার করেছি।’
র্যাব-১০ এর অধিনায়ক আরও বলেন, ‘রায়হানের মাদক কারবারে সংশ্লিষ্ট আরেকজনের নাম আমরা পেয়েছি। রায়হানকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তদন্ত শেষে জানা যাবে, কী পরিমাণ এলএসডি সে দেশে চালান করেছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’