গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কারোর মৃত্যুর সংবাদ দেয়নি স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এ নিয়ে টানা ছয়দিন মৃত্যুহীন দিন পার করছে দেশ। এ সময়ের মধ্যে সারা দেশে ৪২ জন করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছেন। এর আগের দিন নতুন রোগী ছিল ২৮ জন, যা গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম।
এর আগে ২০২২ সালের ৫ এপ্রিল কম রোগী শনাক্তের সংবাদ দেয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। ওই সময় মাত্র ১৮ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়।
রোববার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে জানায় দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪২ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে টানা ১৬ দিন শনাক্তের সংখ্যা একশর নিচে থাকল। গত ২৫ মার্চ রোগী শনাক্তের সংখ্যা ১০০ জনের বেশি ছিল। সেদিন দেশে ১০২ জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন মৃত্যু না থাকায় মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ১২৩ জনেই রয়েছে।
দেশে এ পর্যন্ত করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫২ হাজার ৬৫ জনে। রোববার সকাল পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৫ হাজার ২৪৪টি নমুনা পরীক্ষায় ৪২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮০ শতাংশ।
সরকারি হিসাবে গত এক দিনে সুস্থ হয়েছেন আরও ৭০৭ জন। তাদের নিয়ে এ পর্যন্ত ১৮ লাখ ৮৮ হাজার ৬৪০ জন সুস্থ হয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীদের মধ্যে ৩৬ জনই ঢাকা বিভাগের। আর এই ৩৬ জনই ঢাকা জেলার।
দেশে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। করোনার প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এ পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্ত হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর করোনা দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। স্বস্তির খবর হলো করোনার তৃতীয় ঢেউও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।