গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনের মতোই আগামী নির্বাচনেও জনগণ আওয়ামী লীগকে বেছে নেবে বলে মনে করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। কারণ হিসেবে তুলে ধরেছেন, ‘সরকারের অর্জনে জনগণের খুশি থাকার’ বিষয়টি।
রোববার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘নেতিবাচক ও ধ্বংসাত্মক রাজনীতির জন্য বিএনপিকে জনগণ চায় না, এটা দলটি বুঝতে পেরেছে। জনগণ থেকে প্রত্যাখ্যাত হয়ে বিএনপিই এখন জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে।’
২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চমক জাগানিয়া জয়ের পর ২০১৪ সালের নির্বাচনে দলটিকে কোনো চ্যালেঞ্জের মুখেই পড়তে হয়নি। প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি-জামায়াত জোট ভোট বর্জন করার পর সহজেই জয় পায় ক্ষমতাসীনরা।
২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি তার ২০ দলীয় জোট ছাড়াও নতুন জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট নিয়ে আওয়ামী লীগকে চ্যালেঞ্জ করে। তবে এই দলটির নেতৃত্বে মহাজোট ২০০৮ সালের চেয়েও বড় জয় পায়।
তবে বিএনপির অভিযোগ, গত দুটি নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি, বিশেষ করে গত নির্বাচনে আগের রাতেই সিল মেরে বাক্স ভর্তি করা হয়েছে।
জনগণ এখন সরকারের পতনের অপেক্ষায়- এমন দাবি করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বারবার আন্দোলনে নামার কথাও বলছেন। পাশাপাশি দলীয় সরকারের অধীনে ভোটে না যাওয়ার ঘোষণাও আছে।
অন্যদিকে আওয়ামী লীগ এরই মধ্যে ভোটের প্রস্তুতি শুরু করতে দলের তৃণমূলের নেতাকর্মীদের নির্দেশ দিয়েছে। সেই লক্ষ্যে দল সাজানোর কাজও শুরু হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের মনে করেন, ২০২৩ সালের জাতীয় নির্বাচনে তাদের জয় নিশ্চিত। তিনি বলেন, ‘জনগণ শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়ন ও অর্জনে খুশি। তাই তারা আগামী জাতীয় নির্বাচনেও আওয়ামী লীগকেই বেছে নেবে।’
নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারের যে দাবি বিএনপি করে আসছে, সে বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিএনপি এখন থেকেই নির্বাচন-প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে ষড়যন্ত্র আর মিথ্যাচার করছে।’
‘আওয়ামী লীগ নির্বাচন নির্বাচন খেলা খেলে আবার আগামী জাতীয় নির্বাচনের বৈতরণী পার হতে চায়’ বলে মির্জা ফখরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তাকে হাস্যকর বলে উল্লেখ করেন কাদের। বলেন, ‘জনগণের ওপর আমাদের আস্থা শতভাগ, কাজেই নির্বাচন নিয়ে খেলার প্রয়োজন নেই। এ খেলা বিএনপিই ভালো বোঝে, যা দলটি ১৯৯৬ সালে মাগুরা উপনির্বাচন ও পরে ঢাকা-১০ এ খেলেছিল।’
বিএনপিকে উদ্দেশ করে কাদের বলেন, ‘গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া এবং জনগণের ওপর আস্থা রাখুন, নির্বাচনে আসুন। ক্ষমতার মালিক জনগণ, জনগণ যাকে চাইবে সেই ক্ষমতায় আসবে।’
এর আগে সড়কমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্সি টেম্বন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতিতে যে ইতিবাচক অগ্রগতি ও অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে তার ভূয়সী প্রশংসা করেন বলে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।