স্বামীর বাড়ির তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার হয়েছে শাহনাজ পারভীন নামের এক গৃহবধূর মরদেহ।
ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জের এ গৃহবধূকে নিখোঁজ দাবি করার ৩৫ ঘণ্টা পর তালাবদ্ধ ঘরে তার ঝুলন্ত মরদেহ পাওয়ায় তৈরি হয়েছে রহস্য। এটি পরিকল্পিত হত্যা বলে দাবি করেছেন শাহনাজের স্বজনরা।
দুই কন্যাসন্তানের জননী শাহনাজ উপদইল গ্রামের খায়রুল ইসলামের স্ত্রী। পেশায় গাড়িচালক খায়রুল ঢাকায় থাকেন। শুক্রবার মধ্যরাতে স্ত্রীর মরদেহ উদ্ধারের সময় তিনি বাড়িতে ছিলেন না।
শাহনাজের বড় ভাই তৈমুর রহমান বলেন, ‘শাহনাজের বিয়ে হয়েছে প্রায় ১০ বছর আগে। কয়েক বছর আগে তার স্বামী খায়রুল ঢাকায় চলে যায়। দুই সন্তান নিয়ে শাহনাজ স্বামীর বাড়িতে ছিল।
‘বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শাহনাজের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তখন তার স্বামী দাবি করে, পরকীয়া প্রেমের জন্য শাহনাজ পালিয়েছে এক ছেলের সঙ্গে। কিন্তু খোঁজাখুঁজির পর শুক্রবার রাত ১২টার দিকে খায়রুলদের বাড়িতেই পেয়েছি বোনের মরদেহ।’
তৈমুর দাবি করেন, রাতে খায়রুলদের বাড়ির গেটে তালা দেয়া ছিল। এরপর তালা ভেঙে ভেতরে ঢোকার পর দেখা যায় ঘরেও তালা। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের উপস্থিতিতেই তালা ভেঙে শোয়ার ঘরে পাওয়া যায় শাহনাজের ঝুলন্ত মরদেহ।
তিনি বলেন, ‘খায়রুল আমার বোনকে হত্যার পর মরদেহ ঘরের আড়ায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দেয়। বিষয়টি লিখিতভাবে পুলিশকে জানিয়েছি।’
পীরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘শনিবার দুপুরে গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে।’