ময়মনসিংহের গৌরীপুরে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে জঙ্গলে নিয়ে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে মামুন নামে এক যুবকের বিরুদ্ধে।
শিশুটি স্থানীয় একটি সরকারি বিদ্যালয় থেকে ফেরার পথে শনিবার সকালে এই ঘটনা ঘটে। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায় ২৫ বছর বয়সী অভিযুক্ত মামুন। তিনি একই উপজেলার শাহ আব্দুলের ছেলে।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী ও তার অভিভাবকরা জানান, মামুন আম দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে স্কুল থেকে ৫০০ ফুট দূরের একটি জঙ্গলে নিয়ে যান। পরে সেখানে বাঁশের পাতা জড়ো করে আগুন ধরিয়ে শিশুটিকে ভয় দেখিয়ে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।
এ সময় গ্রামের ছাবেদ আলী নামের এক ব্যক্তি ওই জঙ্গলে বাঁশ কাটতে গেলে তার উপস্থিতি টের পেয়ে মামুন পালিয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শী ছাবেদ আলী বলেন, ‘কাছে গিয়ে দেখি শিশুটি ভয়ে জড়সড় হয়ে মাটিতে উপুড় হয়ে পড়ে আছে।’
ঘটনাটি জানাজানি হলে স্থানীয় শত শত মানুষ ওই বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জড়ো হন। পরে মামুনের বাড়ি গিয়ে তার কোনো খোঁজ পাননি স্থানীয়রা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আঞ্জুমান আরা বেগম জানান, খবর পেয়ে তিনিসহ অন্য শিক্ষকেরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং শিশুটিকে উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনের আশ্রয় নেয়া উচিৎ বলেও মনে করেন তারা।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আমরা আশঙ্কা করছি শিশুটিকে ধর্ষণের পর মেরে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল মামুন। এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।’
এ বিষয়ে গৌরীপুর থানার ওসি খান আব্দুল হালিম সিদ্দিকী বলেন, ‘পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।’