বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হিন্দু-মুসলিম সম্প্রীতির নজির গড়লেন মুর্শিদাবাদের দেবপ্রিয়

  •    
  • ৯ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:২৭

দেবপ্রিয় বলেন, ‘হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের পার্থক্য আমি বুঝি না। আমি মানুষ বুঝি। মুসলিম ভাইয়েরা রক্ত দিয়ে আমার মাকে বাঁচিয়েছেন। তাই তো সেই মুসলিম ভাইদের কথা মনে রেখে রমজান মাসে একটি দিন ইফতারসামগ্রী বিতরণ করেছি।’

ভারতে ঘৃণা ও বিদ্বেষমূলক পরিস্থিতির মাঝেও হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ে সম্প্রীতির নজির তৈরি করেছেন পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের তরুণ দেবপ্রিয় মজুমদার।

মুর্শিদাবাদ জেলার ইছাগঞ্জের বাসিন্দা ডিএলএড-এর ছাত্র দেবপ্রিয় মজুমদার ২০২০ সালে তার মা দেবি রানীকে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য মুম্বাইতে টাটা মেমোরিয়াল ক্যান্সার হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে দেবপ্রিয়র মায়ের প্রচুর রক্তের প্রয়োজন পড়ে। অচেনা অজানা জায়গায় এত রক্ত পাবেন কোথায় দেবপ্রিয়? তার এই দিশেহারা পরিস্থিতিতে স্থানীয় মানুষ এগিয়ে আসেন রক্ত দিয়ে সাহায্য করতে।

দেবপ্রিয় বলেন, ‘আমরা ধর্মবিশ্বাসী হলেও সেদিন আমার মাকে রক্ত দিয়ে বাঁচাতে এগিয়ে এসেছিলেন মুসলিম ভাইদের অনেকে। তারা কেউ আমাদের চিনতেন না। মুম্বাইয়ের মুসলিম ভাইদের দেয়া রক্তে আজ আমার মা সুস্থ হয়ে উঠেছেন।’

রক্তঋণ কোনোদিন শোধ করা যাবে না। কোনোদিন ভোলাও যায় না। ভুলতে পারবেন না দেবপ্রিয়ও। তাই তো সেই মুসলিম ভাইদের কথা মনে রেখে রমজানের মাসে একটি দিনে ইফতার সামগ্রী বিতরণ করেছেন তিনি।

শুক্রবার মুর্শিদাবাদ পৌরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভিন্ন বাড়ি ও মসজিদে ঘুরে ঘুরে মুসলিম ভাইদের হাতে ইফতার সামগ্রী তুলে দিয়েছেন দেবপ্রিয়।

দেবপ্রিয় বলেন, ‘হিন্দু-মুসলিম সম্প্রদায়ের পার্থক্য আমি বুঝি না। আমি মানুষ বুঝি। মুসলিম ভাইয়েরা রক্ত দিয়ে আমার মাকে বাঁচিয়েছেন। আমার অনেক মুসলিম বন্ধু আছেন। তাদের ঋণ আমি শোধ করতে পারব না। তাদের উৎসবেও অংশ নেয়ার চেষ্টা করছি।

‘প্রচুর মানুষ আছে যারা দিন আনে দিন খায়। সারাদিন কাজ করে প্রতিদিন সন্ধ্যায় ইফতার সামগ্রী জোগাড় করা তাদের পক্ষে কঠিন হয়ে পড়ে। তাই এই এলাকার সেসব মানুষকে উৎসবে শামিল করতে তাদের একদিনের ইফতারের দায়িত্ব আমি নিয়েছি।’

এ বিভাগের আরো খবর