রাজধানীর ওয়ারীর তাহেরবাগ এলাকার একটি বাসায় স্বপ্না নামে এক গৃহকর্মীকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ১৩ বছর বয়সী ওই কিশোরীর মা মাহফুজা বেগম থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন।
শুক্রবার দুপুরে ভুক্তভোগী স্বপ্নাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাকে চিকিৎসা দিয়ে আবার থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
স্বপ্নার অভিযোগ, বাসার কাজ দ্রুত করতে না পারলে গৃহকর্ত্রী আঁখি বেগম তাকে প্রায়ই মারধর করেন। কাঠের ডাসা, লাঠি, রুটি বানানোর বেলন দিয়েও তার শরীরে আঘাত করতেন আঁখি।
এ ছাড়া বাসায় হাতের কাছে যা পেতেন তা দিয়েই তাকে মারধর করতেন।
স্বপ্না জানায়, একসঙ্গে অনেক কাজ করতে হতো তাকে। কাজ করে ক্লান্ত হয়ে বিছানায় গেলে এটি দেখেও তাকে নির্যাতন করা হতো।
হাসপাতালে স্বপ্নার দূরসম্পর্কের খালা আসমা আক্তার জানান, তাদের বাড়ি রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলায়। স্বপ্নার বাবা শাহআলী রিকশাচালক, আর মা মাহফুজা বেগম গৃহিণী। তারা গ্রামে থাকেন।
১০ মাস আগে স্বপ্নার বাবা-মা তাকে কাজের জন্য বনগ্রামে দূরসম্পর্কের খালা আসমার বাসায় দিয়ে যান। পরে আসমা এক নারীর মাধ্যমে স্বপ্নাকে তাহেরবাগের মাসুম বিল্লাহ ও আঁখির বাসায় কাজে দেন।
বৃহস্পতিবার গৃহকর্ত্রী আঁখি স্বপ্নার মাকে ফোন করে জানান, স্বপ্নার ডায়রিয়া হয়েছে। তাকে যেন নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন বিকেলেই স্বপ্নার মা গ্রাম থেকে ঢাকায় এসে তাকে ওই বাসা থেকে নিয়ে আসমার বাসায় যান।
শুক্রবার সকালে স্বপ্নাকে গোসল করানোর সময় তার সারা শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখতে পান তার মা। এ বিষয়ে জিজ্ঞেস করলে মায়ের কাছে নির্যাতনের সব ঘটনা খুলে বলে স্বপ্না।
ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘ওয়ারী থেকে নির্যাতনের শিকার এক গৃহকর্মীকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসে পুলিশসহ তার আত্মীয়স্বজন। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ওই গৃহকর্মীকে আবারও থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।