এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ফরিদপুরের সালথায় দুই পক্ষের মধ্যে কয়েক দফা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে ১৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। এ সময় বাড়িঘরে ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগও উঠেছে।
উপজেলার গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের মোড়হাট, আগুলদিয়া ও জয়ঝাপ গ্রামে শুক্রবার সেহরির সময়, সকালে ও বৃহস্পতিবার বিভিন্ন সময় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিউজবাংলাকে তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নগরকান্দা-সালথা সার্কেল) মো. সুমিনুর রহমান।
স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মোড়হাট বাজারে স্থানীয় আইয়ুব ঠাকুরের সঙ্গে ও প্রতিপক্ষ খোরশেদ খাঁর সমর্থক কসিম মৃধার কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় ধাক্কাধাক্কির ঘটনাও ঘটে। স্থানীয়দের মধ্যস্থতায় বিষয়টি তখন থেমে যায়। তবে ঘণ্টা খানেক পর দুই পক্ষ তাদের সমর্থকদের ডেকে জয়ঝাপ এলাকায় রামদা, লাঠিসোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
তিন ঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ চলে। এর জেরে শুক্রবার সেহরির সময় আবারও ঘণ্টাব্যাপী সংঘর্ষ হয়। এতে কমপক্ষে ১৭ জন আহত হন। গুরুতর আহত ১০ জনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অন্যরা স্থানীয় হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।
স্থানীয়রা আরও জানান, সংঘর্ষের সময় বেশ কিছু বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বর্তমানে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
গট্টি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুর রহমান লাবলু জানান, পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয়রা পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করে। সংঘর্ষের সময় আগুলদিয়া গ্রামের শাজাহান খান ও আনোয়ার খানসহ কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়।
সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোন্তাছির মারুফ হোসেন বলেন, ‘পুলিশ ৫টি ফাঁকা গুলি ও ১টি সাউন্ড গ্রেনেট ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।’
পুলিশ কর্মকর্তা সুমিনুর রহমান বলেন, ‘খবর পেয়ে আমিসহ পুলিশের একটি টিম গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। সংঘর্ষ এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’