বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কিউএসের বিষয়ভিত্তিক র‌্যাঙ্কিংয়ে বড় অগ্রগতি বুয়েটের

  •    
  • ৮ এপ্রিল, ২০২২ ০৯:০২

কিউএসের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগে বুয়েটের বর্তমান অবস্থান ১৮৫তম, যেখানে গত বছর ছিল ৩৪৭তম। এর আগের বছর এ অবস্থান ছিল ৪০১ থেকে সাড়ে চার শর মধ্যে। অন্যদিকে বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিংয়ে গত ৩ বছর ধরে ৮০১ থেকে ১ হাজারের মধ্যে অবস্থান করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা ও গবেষণা সংস্থা কিউএসের বিষয়ভিত্তিক র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগে বড় অগ্রগতি দেখিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), তবে বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিংয়ে প্রতিষ্ঠানটির অবস্থানের অগ্রগতি হয়নি।

বিশ্বব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর র‌্যাঙ্কিং মূল্যায়নকারী প্রতিষ্ঠান কিউএস বুধবার তাদের ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।

ওয়েবসাইটে দেখা যায়, প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিভাগে বুয়েটের বর্তমান অবস্থান ১৮৫তম, যেখানে গত বছর ছিল ৩৪৭তম। এর আগের বছর এ অবস্থান ছিল ৪০১ থেকে সাড়ে চার শর মধ্যে।

অন্যদিকে বৈশ্বিক র‌্যাঙ্কিংয়ে গত ৩ বছর ধরে ৮০১ থেকে ১ হাজারের মধ্যে অবস্থান করছে বিশ্ববিদ্যালয়টি।

বৈশ্বিক নয়, বিষয়ভিত্তিক র‌্যাঙ্কিংটাই বুয়েটের জন্য যথোপযুক্ত বলে মনে করছেন প্রতিষ্ঠানটির ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘আমাদেরটা যেহেতু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, সেখানে আমাদের সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে কম্পেয়ার (তুলনা) করলে সেটা জাস্টিফায়েড (ন্যায্য) হয় না। তাই বিষয়ভিত্তিক র‌্যাঙ্কিংটাই আমাদের জন্য অ্যাপ্রোপিয়েট (যথোপযুক্ত)।’

মিজানুর আরও বলেন, ‘কোনো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নোবেলপ্রাপ্ত কেউ আছে কি না, সেটার ওপরও র‌্যাঙ্কিং নির্ধারণে একটা মার্ক থাকে, কিন্তু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এ রকম কাউকে পাওয়া একটু কষ্ট।

‘এমআইটিতেও (ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি) হয়তো প্রযুক্তি ফিল্ড থেকে এ রকম কেউ নেই। সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বাকি সাবজেক্টগুলো থেকে হয়তো হয়। তাই এই দিক থেকেও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে সাধারণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পারিজন জাস্টিফায়েড হয় না।’

কিউএস তিনটি ক্যাটাগরিতে তাদের এ র‌্যাঙ্কিং প্রকাশ করে। ক্যাটাগরিগুলো হলো বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিং, বিষয়ভিত্তিক বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিং এবং এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিং।

এশিয়ার বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিংয়ে গত বছরের তুলনায় এ বছর বুয়েট কিছুটা পিছিয়েছে। এশিয়ায় বুয়েটের বর্তমান অবস্থান ২০২, যেখানে গত বছর তাদের অবস্থান ছিল ১৯৯। ২০২০ সালে তাদের অবস্থান ছিল ২০৭।

এর আগে ২০১৮ সালে ১৩৫ এবং আরও পিছিয়ে ২০১৯ সালে তাদের অবস্থান দাঁড়িয়েছিল ১৭৫ নম্বরে।

বিষয়ভিত্তিক বৈশ্বিক বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিংয়ে পাঁচটি বিষয় অন্তর্ভুক্ত আছে। এগুলো হলো ইঞ্জিনিয়ারিং-পেট্রোলিয়াম, ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম, ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক এবং ইঞ্জিনিয়ারিং-মেকানিক্যাল।

এ পাঁচটি বিষয়ের মধ্যে শুধু ভালো অগ্রগতি হয়েছে ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে। ইঞ্জিনিয়ারিং-পেট্রোলিয়াম বিষয়ে বুয়েটের বর্তমান অবস্থান ৫১ থেকে এক শর মধ্যে, যেখানে গত বছর এই বিষয়ে তাদের অবস্থান ছিল ১০০ থেকে দেড় শর মধ্যে।

কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেম বিষয়ে বুয়েটের অবস্থানের পরিবর্তন হয়নি। এ বছর তাদের অবস্থান ৩০১ থেকে সাড়ে তিন শর মধ্যে। গত বছরও তাদের একই অবস্থান ছিল।

ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক বিষয়ে গত বছরের তুলনায় এ বছর বুয়েটের কিছুটা অগ্রগতি হয়েছে। এ বিষয়ে তাদের বর্তমান অবস্থান ৩০১ থেকে সাড়ে তিন শর মধ্যে, যেখানে গত বছর এ অবস্থান ছিল ৩৫১ থেকে চার শর মধ্যে।

ইঞ্জিনিয়ারিং-মেকানিক্যাল বিষয়েও অগ্রগতি হয়নি বুয়েটের। গত বছর এবং এ বছর তাদের অবস্থান ৪০১ থেকে সাড়ে চার শর মধ্যে, তবে ২০২০ সালে এ বিষয়ে তাদের অবস্থান ছিল ৩৫১ থেকে চার শর মধ্যে।

ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিষয়ে অগ্রগতির বিষয়ে অধ্যাপক মিজানুর রহমান বলেন, ‘ছয়টি বিষয়ের ওপর ভিত্তি করে তারা প্রযুক্তির এই র‌্যাঙ্কিংটা করে। এর মধ্যে একটি হলো অ্যাকাডেমিক রেপুটেশন (প্রাতিষ্ঠানিক সুনাম)।

‘আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যারা পাস করে যায়, তাদের একটা তালিকা তারা আমাদের কাছ থেকে চায়। আমরা তাদেরকে সেই তালিকা দেই। এরপর তারা তাদের মতো সার্ভে (জরিপ) করে।’

তিনি বলেন, ‘অ্যাকাডেমিক রেপুটেশনে গতবার আমাদের স্কোর ছিল ৬৫.৩। আর এবার আমাদের এটি বেড়ে হয়েছে ৭২.৩। এখানে আমাদের অগ্রগতি হয়েছে।

‘আমাদের ফ্যাকাল্টিদের (শিক্ষক) যত পেপার (গবেষণা) থাকে, সেগুলোর সাইটেশনের ওপরও একটা মার্কিং থাকে। সেখানেও আমাদের অগ্রগতি হয়েছে। এমপ্লয়ি রেপুটেশনে আমরা ভালো জাম্প করেছি।’

এ শিক্ষক আরও বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল রিসার্চ নেটওয়ার্কে গতবার আমাদের কোনো মার্ক ছিল না। এবার এটাতে আমাদের মার্ক ৩৫.৫। এটা বাড়ার কারণ হলো আমাদের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য স্যার যোগ দেয়ার পর উনারা আন্তর্জাতিক কোলাবোরশেনের ওপর অনেক জোর দিয়েছেন।

‘প্রায় ১০টা আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে আমাদের এমওইউ সাইন (সমঝোতা স্মারক সই) হয়েছে। এখান থেকে আমাদের এই মার্ক।’

মিজানুর রহমান বলেন, ‘সব ফিল্ডেই আমাদের মার্ক বাড়ছে। এগুলোর জন্য আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় অথরিটির কিছু পরিকল্পনা ছিল। সেগুলোরই প্রতিফলন এই অগ্রগতি।

‘আমরা আরও কিছু পরিকল্পনা নিয়েছি। আশা করছি সেগুলোর রিফ্লেকশন (প্রতিফলন) এক-দুই বছরের মধ্যে কিউএস র‌্যাঙ্কিংয়ে আমরা পাব।’

আগামী তিন বছরের মধ্যে কিউএসের বিষয়ভিত্তিক র‌্যাঙ্কিংয়ে এক শর মধ্যে আসার লক্ষ্যকে সামনে রেখে পরিকল্পনা নিয়ে বুয়েট এগোচ্ছে বলেও জানান এ অধ্যাপক।

এ বিভাগের আরো খবর