রমজানে বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে মাঝরাতে অভিযানে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
বুধবার রাত ১২টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে যান ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। অভিযান শুরু হয় বেগুন, তরমুজ ও লেবুর বাজার তদারকির মাধ্যমে।
অভিযানে অংশ নেন অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার, উপপরিচালক বিকাশ চন্দ্র দাশ, সহকারী পরিচালক আব্দুল জব্বার মণ্ডল।
কৃষকের কাছ থেকে প্রতিটি ১৮০ থেকে ২০০ টাকায় কেনা তরমুজ হাত ঘুরে বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। কৃষকের দামের চেয়ে দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি দামে তরমুজ পাচ্ছেন ক্রেতারা। লেবু কিনতে হচ্ছে চার গুণ বেশি দামে।
ভোক্তা অধিদপ্তর কর্মকর্তাদের অভিযানে বাজারের এমন চিত্র উঠে আসে।
বাজার তদারকিতে দেখা যায়, কৃষকের কাছ থেকে প্রতি বস্তা লেবু কেনা পড়ে আড়াই থেকে তিন হাজার টাকায়। বস্তায় লেবু থাকে ৭০০ থেকে ৮০০টি। বস্তাপ্রতি ভাড়া খরচ হয় প্রায় ৩০০ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতিটি লেবু কেনায় খরচ হয় সাড়ে তিন টাকা। পাইকারি ও খুচরা হাত ঘুরে প্রতিটি লেবু ক্রেতাদের কিনতে হয় ১০ থেকে ১৫ টাকায়।
একই অবস্থা বেগুনের। পাইকাররা প্রতি কেজি বেগুন ৫০ টাকায় কিনে তা খুচরা বাজারে ৮০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে। বেশি দাম রাখার অপরাধে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করে অধিদপ্তর।
ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার নিউজবাংলাকে জানান, লেবু, তরমুজ ও বেগুনের বাজারে অভিযান চালানো হয়। এই তিন পণ্য পাইকারির চেয়ে খুচরায় অনেক বেশি দামে বিক্রি হতে দেখা গেছে। লেবু খুচরা প্রায় চার গুণ দামে বিক্রি হয়। পাইকারিতে তরমুজ ও বেগুনের অস্বাভাবিক দাম দেখা গেছে।তিনি আরও জানান, এই অভিযান অব্যাহত থাকবে। এসব পণ্য কৃষকের কাছ থেকে কত টাকায় কেনা হয় এবং ঢাকায় কত টাকায় বিক্রি হয়, তাও খুঁজে দেখা হবে। ঢাকার অন্য আড়তসহ জেলা পর্যায়েও অভিযান চালানো হবে।
ভোক্তা অধিদপ্তর কর্মকর্তা শাহরিয়ার বলেন, ‘রাস্তায় ট্রাকে চাঁদাবাজি হয় বলে ব্যবসায়ীরা যেসব অভিযোগ করেন, ট্রাকচালকদের সঙ্গে কথা বলে তার তেমন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’