পদ্মা সেতুর টোল আদায় করবে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে করপোরেশন (কেইসি) এবং চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং। পাঁচ বছরের জন্য এ দুটি প্রতিষ্ঠানকে নিযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার অর্থনৈতিক বিষয়ক ও ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে সরকারের ব্যয় হবে ৬৯৩ কোটি টাকা।
প্রতিষ্ঠান দুটি পদ্মা সেতু রক্ষণাবেক্ষণ এবং টোল আদায় কার্যক্রম পরিচালনা করবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব জিল্লুর হোসেন।
তবে টোল আদায়কারী প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়া হলেও এখনও পদ্মা সেতুতে টোলের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়নি। ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন। তিনি জানান, এ বছরের শেষে পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হবে।
অর্থমন্ত্রী জানান, পদ্মা সেতু নির্মাণে যে খরচ হয়েছে, এ সেতুতে চলাচলকারী যানবাহনের কাছ থেকে টোল আদায়ের মাধ্যমে তার চেয়ে বেশি অর্থ আয় করা যাবে। টোল থেকে বাড়তি যে অর্থ আসবে, তা দিয়ে আরও নতুন সেতু তৈরি করা হবে।
প্রায় ৩১ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ দশমিক ১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের পদ্মা বহুমুখী সেতুর কাজ প্রায় শেষের দিকে। চলতি বছরের জুনে পদ্মা সেতু চালু হওয়ার কথা থাকলেও নানা কারণে তা কয়েক মাস পিছিয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বুধবার জাতীয় সংসদে জানিয়েছেন, ডিসেম্বরে পদ্মা সেতু চালু হবে।
পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের তারিখ কেন পিছিয়ে গেল – এ প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বে অনেক ঘটনা ঘটে, যা আমাদের নাগালের বাইরে। বিপদ বলে-কয়ে আসে না। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ যে আসবে, তা আমরা কেউ জানতাম না। এই যুদ্ধের ফলে সারা বিশ্ব একটি অস্বাভাবিক সময়ের মধ্যে দিয়ে চলছে। যুদ্ধের কারণে সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেছে।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুর অনেক সরঞ্জাম এখনও আসার বাকি। যুদ্ধের কারণে এগুলো আসতে পারছে না। আমরা আশা করছি, বিপদ কেটে যাবে এবং এ বছরের শেষেই পদ্মা সেতু চালু হবে।’