বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

হাওরে কমছে পানি, স্বস্তিতে কৃষক

  •    
  • ৭ এপ্রিল, ২০২২ ১৪:০৫

কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত তিন থেকে সাড়ে তিন সেন্টিমিটার পানি কমেছে। পানি বর্তমানে যে লেভেলে আছে, মূল হাওরগুলো তার চেয়ে আরও এক মিটার ওপরে আছে। আসাম, মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বর্ষণ না হলে পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।’

কিশোরগঞ্জের হাওরে পানি কমতে শুরু করেছে। বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে পানি কমতে শুরু করে। বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা পর্যন্ত তিন থেকে সাড়ে তিন সেন্টিমিটার কমেছে।

পানি কমতে শুরু করায় হাওরাঞ্চলের কৃষকরা স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন। ফসল নিয়ে এখন তারা আশার আলো দেখছেন।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে ইটনা উপজেলা কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, আগামী ৭২ ঘণ্টা মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তাই জেলার ধনু, সুরমা, বাউলাইসহ প্রধান নদীগুলোর পানি সার্বিকভাবে কমতে পারে।

উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে জেলার হাওরগুলোর প্রায় সাড়ে ৩০০ হেক্টর জমির ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গত শনিবার থেকে ঢলের পানিতে তলিয়ে যায় ইটনা উপজেলার বেশ কয়েকটি হাওর। পুরো জেলার মধ্যে শুধু এই উপজেলাতেই ৩০০ হেক্টর জমির ফসল তলিয়ে গেছে।

আর উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ধনপুর ইউনিয়নে। এই ইউনিয়নের দুটি হাওর একেবারে তলিয়ে গেছে। বাকি আটটি ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী চর এবং খাল-বিলে চাষ হওয়া নিচু জমি তলিয়ে গেলেও মূল হাওরগুলো এখনও সুরক্ষিত আছে বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।

ইটনা সদর ইউনিয়নের কৃষক শাহজাহান মিয়া জিওল হাওরে ৪১ একর জমিতে চাষাবাদ করেছেন। উজানের ঢলের পানি নেমে আসার পর থেকে জিওলের বাঁধেই সময় কাটছে তার। দুশ্চিন্তায় ছিলেন কখন যেন বাঁধ ভেঙে যায়। এমন দুশ্চিন্তা থেকেই গ্রামবাসীর সহযোগিতায় জিওলের বাঁধের পাশেই নির্মাণ করেন আরেকটি বিকল্প বাঁধ।

নিউজবাংলাকে তিনি বলেন, ‘নদীতে পানি বাড়লেই আমাদের কষ্টের সীমা থাকে না। কিন্তু বুধবার থেকে পানি আর বাড়েনি। আজ সকাল থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমতে দেখে স্বস্তি ফিরেছে।’

মিঠামইন উপজেলার চারিগ্রামের বাসিন্দা উজ্জল মিয়া বলেন, ‘চারিগ্রামের বড় হাওরে ৫ একর জমিতে ফসল করেছি। কয়েক দিন পানি যেভাবে বাড়ছিল, বাজারের পাশের খাল নিয়ে আমরা খুবই দুশ্চিন্তার মধ্যে ছিলাম। কিন্তু আজ সকাল থেকে পানি কমতে দেখে খানিকটা ভালো লাগছে। পানি আর না বাড়লে সমস্যা হবে না।’

বড়িবাড়ি হাওরে ১৫ একর জমিতে চাষাবাদ করেছেন করিমগঞ্জ উপজেলার সাকুয়া গ্রামের কৃষক আব্দুল হাসিম। তিনি বলেন, ‘দুই দিন আগেও পানি যেভাবে বাড়তে শুরু করেছিল, ভাবছিলাম জমির ফসল আর ঘরে তুলতে পারব না। দুশ্চিন্তায় ছিলাম। এখন পানি কমতে শুরু করেছে।’

ইটনা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা উজ্জল সাহা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে পানি কমতে শুরু করেছে। পানি কমতে দেখে কৃষকের মনে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। পানি আরও কমতে পারে।’

আবহাওয়া অধিদপ্তরের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, ‘আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত মেঘালয়ে উল্লেখযোগ্য বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা নেই। তাই এ সময়ে জেলার ধনু, সুরমা, বাউলাইসহ প্রধান নদীগুলোর পানি সার্বিকভাবে হ্রাস পেতে পারে।’

কিশোরগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. রিয়াজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত তিন থেকে সাড়ে তিন সেন্টিমিটার পানি কমেছে। পানি বর্তমানে যে লেভেলে আছে, মূল হাওরগুলো তার চেয়ে আরও এক মিটার ওপরে আছে। আসাম, মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে ভারী বর্ষণ না হলে পানি বৃদ্ধির সম্ভাবনা নেই।’

এ বিভাগের আরো খবর