বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এক কলেজ থেকে মেডিক্যালে পড়ার সুযোগ ৩৯ জনের

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২২ ২২:৩২

কলেজটির শিক্ষাদান বিষয়ে অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক বলেন, ‘কলেজে পাঠদান চলে গ্রিন ক্লিন, এনজয়েবল ক্লাসরুম লার্নিং পদ্ধতিতে। এ কারণেই আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও মননশীলতা দিন দিন বাড়ছে।

নীলফামারীর সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ থেকে এবার ৩৯ জন শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন সরকারি মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জন মেয়ে ও ১৬জন ছেলে রয়েছেন।

২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় এবারও সবচেয়ে বেশি সংখ্যক শিক্ষার্থীর মেডিক্যালে পড়ার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি।

এ বছর এই কলেজ থেকে ২৬৮ জন শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ২৪৯ জন জিপিএ-৫ পায়। আর ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পান ৩৯ জন।

এর আগে ২০২০ সালে ৪০ জন, ২০১৯ সালে ৩৮ জন, ২০১৮ সালে ৩৬ জন শিক্ষার্থী মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলেন।

শিক্ষার্থী আদুরি তাসফিন ফারজানার বাড়ি দিনাজপুরের রাণিরবন্দরে। ছোটবেলায় তার বাবা মারা যায়। আদুরি এ বছর ভর্তির সুযোগ পেয়েছে কুষ্টিয়া মেডিক্যাল কলেজে।

আদুরী বলেন, ‘বাবার স্বপ্ন ছিল আমি একদিন ডাক্তার হবো। আজ সেই স্বপ্ন বাস্তব রূপ নিয়েছে। সাফল্যের প্রতিটি ধাপে শিক্ষকদের কঠোর শ্রম রয়েছে।’

নুসরাত জাহান থাকেন সৈয়দপুরের কাজিপাড়া এলাকায়। বাবা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। আরেক শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম থাকেন চিরিরবন্দর উপজেলার জোতসাতনালা গ্রামে। উভয়ই এবার সুযোগ পেয়েছেন সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজে।

তারা বলেন, ‘করোনাকালে কলেজ অনেকদিন বন্ধ থাকায় মুঠোফোনে শিক্ষকরা আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করেছেন। নিয়মিত অনলাইন ক্লাস নিয়ে আমাদের সিলেবাস পূর্ণ করেছেন। আমাদের শিক্ষাঙ্গনের পরিবেশটা ব্যতিক্রম। স্যারদের বন্ধুত্বসুলভ পাঠদান, ক্লাসের বাইরেও শিক্ষকরা আমাদের নানাভাবে সহযোগিতা করেছেন বলে আজ এই সফলতা আমাদের।

কলেজটির শিক্ষাদান বিষয়ে অধ্যক্ষ গোলাম আহমেদ ফারুক বলেন, ‘কলেজে পাঠদান চলে গ্রিন ক্লিন, এনজয়েবল ক্লাসরুম লার্নিং পদ্ধতিতে। এ কারণেই আমাদের প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের প্রতিযোগিতামূলক মনোভাব ও মননশীলতা দিন দিন বাড়ছে।

‘এ কলেজে ভর্তি পরীক্ষা অত্যন্ত স্বচ্ছ। মেধাবী শিক্ষার্থীরাই এ কলেজে পড়ার সুযোগ পান। কলেজের শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে আমরা এক ধরনের সেতুবন্ধন তৈরি করি। ক্লাসরুমেই সম্পূর্ণ পাঠদান সম্পন্ন করা হয়। এর ওপর ভিত্তি করে শিক্ষার্থীদের যাবতীয় প্রয়োজনীয়তা মাথায় রাখা হয়।’

প্রতি বছর রেকর্ড পরিমাণ শিক্ষার্থী দেশের বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়াকে নজিরবিহীন বলে মনে করছেন এ কলেজের শিক্ষকরা।

অভিভাবক নুর ইসলাম বলেন, ‘কলেজ থেকে আমাদের নানা রকম নির্দেশনা দেয়া হতো। অভিভাবক হিসেবে এসব প্রয়োগ করেছি সন্তানের ওপর। সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজটি এ জনপদের একটি ব্যতিক্রমী প্রতিষ্ঠান। প্রতিবছর প্রতিষ্ঠানটি ভালো ফলাফলের ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে।’

কলেজটির প্রভাষক আতাউর রহমান সফলতার কারণ সম্পর্কে বলেন, ‘শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ভালো বোঝাপড়া আছে বলেই আমরা সফল হতে পেরেছি।’

বাংলার প্রভাষক সোহেল আরমান বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের প্রধান অস্ত্র মনোযোগ। আমাদের অধ্যক্ষ প্রতিটি ক্লাস তদারকি করেছেন। এর মধ্য দিয়ে মানসিকভাবে অনুপ্রেরণা পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।’

সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজের অতীতে নাম ছিল সরকারি কারিগরি মহাবিদ্যালয় (টেকনিক্যাল কলেজ)। ২০১৯ সালে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নাম পরিবর্তন করে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ রেখেছে। কলেজটিতে শুধুমাত্র বিজ্ঞান বিষয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর