বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ভোজ্যতেল: মৌলভীবাজার-খাতুনগঞ্জে নজর ভোক্তা অধিদপ্তরের

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২২ ২০:৪৮

ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের পর ৩ মার্চ পর্যন্ত ৮০ হাজার টন ভোজ্যতেল দেশে এসেছে। আরও তেল পাইপলাইনে রয়েছে। প্রতিদিন দেশে পাঁচ হাজার টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। মিল মালিকরাও প্রায় সমপরিমাণ সরবরাহ দিচ্ছেন। মিলেও পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। তাই তেলের সংকট হবে না।’

তিন পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের পর দেশে ৮০ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি হয়েছে। সে সুবাদে তেলের সরবরাহ ও বাজার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ ও ঢাকার মৌলভীবাজার থেকে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে তেলের বাজার অস্থির করার অভিযোগ রয়েছে। এ জন্য এ দুই পাইকারি বাজারে নজর রাখার কথা জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভবিষ্যতে তেলের বাজারে নজরদারির জন্য একটি অ্যাপস তৈরি হচ্ছে বলেও জানিয়েছে অধিদপ্তর।

ভোজ্যতেল সরবরাহকারী পাঁচ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বুধবার বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান। অধিদপ্তরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ারসহ বৈঠকে সিটি গ্রুপ, মেঘনা গ্রুপ, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল, টিকে গ্রুপ ও বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বিভিন্ন পর্যায়ে ভ্যাট প্রত্যাহারের পর ৩ মার্চ পর্যন্ত ৮০ হাজার টন ভোজ্যতেল দেশে এসেছে। আরও তেল পাইপলাইনে রয়েছে। প্রতিদিন দেশে পাঁচ হাজার টন ভোজ্যতেলের চাহিদা রয়েছে। মিল মালিকরাও প্রায় সমপরিমাণ সরবরাহ দিচ্ছেন। মিলেও পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে। তাই তেলের সংকট হবে না।

‘আমরা একটি অ্যাপ আনার চেষ্টা করছি। যেখানে সব পর্যায়ের তেলের তথ্য থাকবে। কতটুকু তেলের এলসি খোলা হলো, জাহাজে কতটুকু তেল এলো, বন্দর হয়ে দেশে কতটুকু তেল প্রবেশ করল, মিলে কতটুকু প্রডাকশন হলো, কতটুকু ডিস্ট্রিবিউট হচ্ছে সব তথ্য সেখানে থাকবে। এতে আমরা সহজেই পরিস্থিতি মনিটর করতে পারব। সেটা করা গেলে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে আমরা তুলনা করতে পারবে। আর আর্টিফিশিয়াল ক্রাইসিস হবে না।’

অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, ‘সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে নানা তথ্য চেয়েছি এবং পেয়েছি। সেগুলোর আলোকে তাদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। মিলগুলো আগের মতোই বাজারে তেলের সরবরাহ চালু রেখেছে। তাদের কাছ থেকে যে তথ্য-উপাত্ত আমরা পেয়েছি তাতে বোঝা যায় মিলারদের বাজার ম্যানিপুলেট করার তেমন সুযোগ নেই। তাদের কাছ থেকে আমরা আমদানি, পরিশোধন, সরবরাহ ও ডিলারদের তথ্য পেয়েছি। কোন ডিলার কতটুকু পেয়েছে, কতটুকু বাজারে ছেড়েছে তা আমরা যাচাই-বাছাই করে দেখছি।’

তিনি বলেন, ‘সব সময় অভিযোগ থাকে ডিলাররা তেল মজুত করছেন। এ জন্য আমরা তাদের প্রভাব ভাঙার পদক্ষেপ নিয়েছি। এখন থেকে চাইলে যেকোনো ব্যবসায়ী ডিলারদের বাদ দিয়ে সরাসরি মিলগেট থেকে ন্যূনতম এক ট্রাক করে (৩০ ড্রাম) তেল কিনতে পারবেন। আমরা মৌলভীবাজার ও খাতুনগঞ্জের ‌ওপর নজর রেখেছি।

‘আমরা খবর পেয়েছি খাতুনগঞ্জে ডিলাররা সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে প্রতি মণে ৪০০-৫০০ টাকা দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। সেখানে আমাদের অভিযান হয়েছে। বেশ কিছু পাইকারি বিক্রেতাকে জরিমানা করা হয়েছে। কিন্তু আমরা যখন ডিলারদের কাছে গেলাম তার আগেই তারা সবকিছু বন্ধ করে চলে গেছে। এখন আমরা ডিলারদের ফোকাস করে অপারেশন অব্যাহত রাখব। ডিলারদের তালিকা আমরা জেলা প্রশাসকদের কাছেও পাঠিয়েছি।’

বৈঠকে উপস্থিত পাঁচ কোম্পানির প্রতিনিধিরা জানান, তারা সরকারের চাহিদামতো বাজারে তেলের সরবরাহ অব্যাহত রেখেছেন। সরবরাহে কোনো ঘাটতি নেই। মিল পরিদর্শনের সময় অধিদপ্তর তাদের তেল সরবরাহের যে ঘাটতির তথ্য পেয়েছিল তা আসলে মাস শেষে আগের মতোই হয়েছে। মৌলভীবাজার ও খাতুনগঞ্জ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই বাজার অস্থির হওয়ার সুযোগ থাকবে না।

কোম্পানিগুলো বোতলজাত তেল পরিবেশকের মাধ্যমে সারা দেশে সরবরাহ করে। কিন্তু খোলা তেল বিক্রি হয় ডিলারদের মাধ্যমে। আর বাজারে তেলের ৭০ শতাংশই থাকে খোলা তেল। এ জন্য সেখানে ডিলারদের দাম বাড়ানোর সুযোগ থাকে।

এ বিভাগের আরো খবর