চট্টগ্রাম সিডিএর অধীন জলবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজ করছে সেনাবাহিনীর ৩৪ কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড। প্রকল্পের ৩৬ খালের মধ্যে ইতোমধ্যে সাতটি খালের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এসব খালের রক্ষণাবেক্ষণ সিডিএর কাজ নয়। এ কারণে তা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনকে বুঝিয়ে দিতে চায় সিডিএ। তবে টাকা ছাড়া এসব খালের দায়িত্ব নিতে নারাজ চসিক। জলাবদ্ধতা প্রকল্প থেকে ১০০ কোটি টাকা দেয়া হলে তবেই এসব খালের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত সংস্থাটি।
বুধবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত চসিক-সিডিএ সমন্বয় সভায় এ কথা জানান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘জলাবদ্ধতা প্রকল্পের অধীনে খাল ও নালার রক্ষণাবেক্ষণে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের কোনো বরাদ্দ নেই। বর্তমানে করপোরেশনের ফান্ডের অবস্থাও তত ভালো না। এই পরিস্থিতিতে নালা-খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব করপোরেশনের পক্ষে নেয়া সম্ভব নয়।
‘কারণ করপোরেশনের ফান্ড ও প্রয়োজনীয় জনবলের অভাব রয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্প থেকে ১০০ কোটি টাকা দেয়া হলে চসিক খালের দায়িত্ব নিতে প্রস্তুত। যদি সিডিএ নালা-খাল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কাজে কোনো বরাদ্দ দিতে না পারে, সে ক্ষেত্রে আমাদের মন্ত্রণালয়ে যাওয়া হওয়া ছাড়া উপায় থাকবে না।’
সভায় সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ বলেন, ‘এবারের জলাবদ্ধতা অন্যান্যবারের মতো হবে না। প্রকল্পের চলমান চার বছরের কাজের মধ্যে এখনও দুই বছরের কাজ বাকি। এখনই শতভাগ ফল পাব এটা মনে হয় না। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে কর্ণফুলী নদীর ড্রেজিংও প্রয়োজন। এ বিষয়ে পানি বিশেষজ্ঞদের মতামত নেয়াও যায়।’
সমন্বয় সভার শুরুতে বক্তব্য রাখেন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল শাহ আলী বলেন, ‘বর্ষার আগে চলতি মাস পর্যন্ত আমরা কাজ করতে পারব। আমরা নগরীর বিভিন্ন এলাকার খালগুলোয় ১৭৬ কিলোমিটারের মতো রিটেইনিং ওয়াল নির্মাণকাজ শেষ করেছি। জলাবদ্ধতা নিরসন কাজে এটা বড় অগ্রগতি বলা যায়।
‘পাশাপাশি অনেক এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানও চালাতে হচ্ছে। পুরো প্রকল্পের কাজ সমানতালে করা সময়সাপেক্ষ। কারণ এখানে বহু প্রতিবন্ধকতা আছে। তবে এ বছর প্রতিবারের মতো জলাবদ্ধতা হবে না বলে আশা করা যায়।’