বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

কম্প্রেসরের ইউরোপীয় ব্র্যান্ড কিনল ওয়ালটন

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৭:২৪

২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ওয়ালটন। কোম্পানিটি দেশে ইলেকট্রনিক পণ্যের বাজারের একটি বড় অংশ দখল করে আছে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেও রপ্তানি হয় কোম্পানিটির পণ্য। এবার তারা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের মতো উন্নত দেশের বাজার দখল করতে চাইছে।

উৎপাদন বৃদ্ধি এবং ইউরোপ-আমেরিকায় রপ্তানির লক্ষ্য নিয়ে কম্প্রেসারের একটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড কিনেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ।

নিলামে অংশ নিয়ে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৫০ বছরের পুরোনো ইতালীয় ব্র্যান্ড এসিসি, জানুসি ইলেক্ট্রোমেকানিকা অ্যান্ড ভার্ডিচারের ইউনিট কিনেছে।

ইউনিটটির মাধ্যমে বছরে ৩২ লাখ ইনভার্টার ও নন-ইনভার্টার কম্প্রেসার উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

বুধবার ঢাকা ও চিটাগং স্টক এক্সচেঞ্জকে এই তথ্য জানায় কোম্পানিটি।

এতে বলা হয়, নতুন ইউনিটের উৎপাদনক্ষমতা যোগ হলে ওয়ালটনের কম্প্রেসার উৎপাদনের সক্ষমতা বেড়ে ৪৮ লাখে উন্নীত হবে। এর ফলে কোম্পানিটি ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এর বাজার সম্প্রসারণ করতে পারবে।

এ লক্ষ্যে কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদ ইউরোপ-আমেরিকায় সহযোগী কোম্পানি, শাখা অফিস বা মৈত্রী অফিস খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।

২০২০ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় ওয়ালটন। কোম্পানিটি দেশে ইলেকট্রনিক পণ্যের বাজারের একটি বড় অংশ দখল করে আছে। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশেও রপ্তানি হয় কোম্পানিটির পণ্য। এবার তারা যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে মতো উন্নত দেশের বাজার দখল করতে চাইছে।

বিশ্বের ৫৭টি দেশে এর ট্রেডমার্ক অনুমোদিত। কারখানা ও ব্র্যান্ড নামের পাশাপাশি কোম্পানির বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের (প্যাটেন্ট, ডিজাইন ও সফটওয়্যার) মালিকানাও পেয়েছে ওয়ালটন।

পুঁজিবাজারে বুকবিল্ডিং পদ্ধতিতে ২৫২ টাকা দরে তালিকাভুক্ত ওয়ালটন পুঁজিবাজারে প্রকৌশল খাতে এই মুহূর্তে সবচেয়ে দামি কোম্পানি। গত কয়েক মাস শেয়ারদর অনেকটা কমলেও বর্তমান দর এক হাজার ৭৮ টাকা ৪০ পয়সা।

গত এক বছরে কোম্পানিটির শেয়ারদর এক হাজার ১৬ টাকা থেকে এক হাজার ৫২৪ টাকা পর্যন্ত ওঠানামা করেছে।

তালিকাভুক্ত হওয়ার পর কোম্পানিটি দুইবার লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। এর মধ্যে ২০২০ সালে প্রথম বছরে ২০০ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ২০ টাকা, পরের বছর আড়াইশ শতাংশ, অর্থাৎ শেয়ারপ্রতি ২৫ টাকা লভ্যাংশ দেয়া হয়েছে।

২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে ওয়ালটনের আয় অনেকটাই বেড়েছে। প্রথম বছরে শেয়ারপ্রতি ২৪ টাকা ২১ পয়সা আয় হলেও পরের বছর তা বেড়ে হয় ৫৪ টাকা ২১ পয়সা।

তবে চলতি অর্থবছরে জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ছয় মাসে শেয়ারপ্রতি আয় অনেকটাই কমে গেছে। এই সময়ে কোম্পানিটি আয় দেখিয়েছে ১৪ টাকা ৭৩ পয়সা যা আগের বছর একই সময়ে ছিল ২১ টাকা ৪০ পয়সা।

এ বিভাগের আরো খবর