সুনামগঞ্জে অপরিকল্পিত বাঁধ নির্মাণ, অনিয়ম ও ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ এনে হাওরে ফসলডুবির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে হাওর বাঁচাও আন্দোলন জেলা কমিটি।
‘ডুবছে হাওর কাঁদছে কৃষক, সুনামগঞ্জে হাওর ডুবির দায় কার’ প্রতিপাদ্যের মধ্য দিয়ে বুধবার সকালে শহরের ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে বিক্ষোভ মিছিল করেন সংগঠনের নেতারা।
নতুন কোর্ট উকিল বারের সামনে মিছিল শেষে সমাবেশ হয়। পরে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেন তারা।
জেলা কমিটির কার্যকরী সভাপতি অলিউর রহমান চৌধুরী বকুলের সভাপতিত্বে এ কর্মসূচির সঞ্চালনায় ছিলেন সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন।
এ সময় বক্তব্য দেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি সুখেন্দু সেন, চিত্তরঞ্জন তালুকদার, সাধারণ সম্পাদক বিজন সেন রায়, যুগ্ম সম্পাদক সালেহিন চৌধুরী শুভ ও সাংগঠনিক সম্পাদক একে কুদরত পাশা।
সমাবেশে সুখেন্দু সেন বলেন, এ বছর সুনামগঞ্জের ১২টি উপজেলার হাওর সুরক্ষা বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সরকার ৭২৭টি পিআইসির মাধ্যমে ১২৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। কিন্তু এত টাকার কাজে কোনো মনিটরিং নেই, কাজের গণগত মান বজায়ের চেষ্টাও নেই।
বাঁধের কাজে এমন গাফিলতির কারণ জানতে চেয়ে তিনি বলেন, 'এখন আমাদের লোকদেখানো দৌড়ঝাঁপ দেখানো হচ্ছে। অনেক বাঁধের প্রকল্প পানি উন্নয়ন বোর্ড হাতেই নেয়নি। এখন যে জমিগুলো তলিয়ে গেল, সেই কৃষকদের কী হবে, তারা কী খাবে?’
সমাবেশে বিজন সেন রায় বলেন, ‘জেলার মাটিয়ান হাওর, শনির হাওর, দেখার হাওর, জামখলাসহ ৫০টিরও বেশি হাওর ঝুঁকির মধ্যে। কৃষকের স্বপ্ন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হচ্ছে। কৃষকরা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন।
‘এ বছর জেলায় ৩ হাজার কোটি টাকার ধান পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু এখন ১ কোটি টাকারও ধান ঘরে উঠবে কি না সন্দেহ। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি। তিনিই পারেন এ বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে।’