বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

খালিয়াজুরীতে কমছে ধনুর পানি, এখনও ঝুঁকিতে কীর্তনখোলা

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২২ ১৩:৪০

নদীর পানি কমতে দেখে কৃষকরা কিছুটা আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন। তবে কীর্তনখোলা বাঁধ ঝুঁকিমুক্ত না হওয়ায় এখনও তাদের শঙ্কা কাটেনি। পাহাড়ি ঢলের চাপে বাঁধটির কয়েকটি অংশে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। একটি অংশের ৩০-৪০ ফুট ধসেও গেছে।

নেত্রকোণার খালিয়াজুরীতে ধনু নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। সর্বশেষ পরিমাপে দেখা গেছে, নদীটির পানি এখন বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, পানি আস্তে আস্তে আরও কমতে পারে।

নদীর পানি কমতে দেখে কিছুটা আশার আলো দেখছেন স্থানীয় কৃষকরা। তবে খালিয়াজুরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কীর্তনখোলা বাঁধটি এখনও ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। টানা তিন দিন ধরে দিনরাত স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধটি টিকিয়ে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন সহস্রাধিক কৃষক।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত জানান, খালিয়াজুরী পয়েন্টে ধনু নদীর বিপৎসীমা ৪ দশমিক ১৫ মিটার। বুধবার দুপুর ১২টায় পরিমাপ করে দেখা গেছে, নদীটিতে ৪ দশমিক ৬ মিটার উচ্চতায় পানি প্রবাহিত হচ্ছে। অর্থাৎ পানি এখন বিপৎসীমার ৯ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নদীটির পানি বিপৎসীমা ছুঁয়ে গিয়েছিল। তিনি আরও জানান, মেঘালয়ের চেরাপুঞ্জিতে আর বৃষ্টিপাত না হলে এখানে পানি ক্রমে কমবে।

নদীর পানি কমতে দেখে কৃষকরা কিছুটা আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন। তবে কীর্তনখোলা বাঁধ ঝুঁকিমুক্ত না হওয়ায় এখনও তাদের শঙ্কা কাটেনি। পাহাড়ি ঢলের চাপে বাঁধটির কয়েকটি অংশে বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। একটি অংশের ৩০-৪০ ফুট ধসেও গেছে। পাউবো, স্থানীয় প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিরা বাঁধটি রক্ষার চেষ্টা করছেন। খালিয়াজুরী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম ফালাক জানান, বিভিন্ন গ্রামের সহস্রাধিক কৃষক তিন দিন ধরে জিও ব্যাগ, বাঁশ, চাটাই প্রভৃতি দিয়ে বাঁধটি টিকিয়ে রেখেছেন। গভীর রাতেও বাঁধে কাজ করেছেন তারা। বাঁধের পাশে মাটি না থাকায় সেটি দুর্বল হয়ে পড়ছে। জেলা প্রশাসক কাজি মো. আবদুর রহমানও বাঁধটি রক্ষায় কৃষকদের সহযোগিতা চেয়েছেন।

খালিয়াজুরী উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মামুন অর রশিদ জানান, খালিয়াজুরী উপজেলার বোরো ফসল রক্ষার জন্য কীর্তনখোলা বাঁধটি সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ বাঁধটি ভেঙে গেলে প্রথমেই পাঙ্গাসিয়া হাওরের ১ হাজার ২০০ হেক্টর জমির বোরো ফসল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

পরে আস্তে আস্তে হাঁসেরকোনা, বড় নূরপুর, চাকুয়া, চৌতারা প্রভৃতি বাঁধগুলোও ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে। অর্থাৎ কীর্তনখোলা বাঁধ ভেঙে গেলে উপজেলার ৭০ ভাগ বোরো ফসলই হুমকির মুখে পড়ে যাবে। পরে বাঁধভাঙা পানি মোহনগঞ্জ, মদন, সুনামগঞ্জের শাল্লা এবং কিশোরগঞ্জের ইটনা এবং মিঠামইনের দিকেও যাবে।

পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী এম এল সৈকত বলেন, ‘পাউবোর আওতাধীন কোনো বাঁধ এখনও ভাঙেনি। আমরা বাঁধগুলো রক্ষায় সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। পাহাড়ি ঢলে ধনু নদী টইটম্বুর হয়ে পড়ায় নদীতীরবর্তী বাঁধের কিছু জায়গা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে।’

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানিয়েছে, গত কয়েক দিনের পাহাড়ি ঢলে খালিয়াজুরী, মদন ও মোহনগঞ্জ উপজেলার নিম্নাঞ্চলের হাওরগুলোর অন্তত ৫০০ হেক্টর জমির বোরো ফসল তলিয়েছে। এসব এলাকার কৃষকরা এখনও কাঁচা ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন, যদিও ধান সম্পূর্ণ পাকতে আরও ১০-১৫ দিন সময় দরকার ছিল।

এ বিভাগের আরো খবর