বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এনু-রুপনের অর্থ পাচার মামলার রায় পেছাল ২৫ এপ্রিল

  •    
  • ৬ এপ্রিল, ২০২২ ১১:৫৯

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালতে মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় তা পেছায় বলে জানান পেশকার সাইফুল ইসলাম।

রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ভাই সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে করা অর্থ পাচার মামলার রায় পিছিয়ে ২৫ এপ্রিল ঠিক করা হয়েছে।

নিউজবাংলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন সংশ্লিষ্ট আদালতের পেশকার সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল রায়ের পরবর্তী এই তারিখ ধার্য করেছেন।’

বুধবার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেনের আদালতে মামলাটির রায় ঘোষণার দিন ঠিক করা ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় তা পেছায় বলে জানান পেশকার সাইফুল ইসলাম।

সকালে বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর শওকত আলম জানান, দুপুর নাগাদ রায়ের তারিখ ঠিক করবেন ভারপ্রাপ্ত বিচারক মনির কামাল।

গত ১৬ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন জামিনে আছেন। অপর ৬ আসামি কারাগারে আছেন।

জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের ক্যাসিনো খেলা পরিচালনাকারী এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের বাসায় ক্যাসিনো থেকে উপার্জিত টাকা উদ্ধারের জন্য ওয়ারীর লালমোহন সাহা স্ট্রীটের বাড়ি ঘেরাও করে র‌্যাব।

কালামের স্ত্রী ও মেয়ের দেখানো মতে চতুর্থ তলার বাড়ির দ্বিতীয় তলা থেকে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করে র‌্যাব।

এ ঘটনায় র‌্যাব-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারী থানায় মামলাটি করেন।

মামলায় অভিযোগ করা হয়, এনু ও রুপন দীর্ঘদিন ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে আসছে। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পরিচালিত হলে তারা তাদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করার জন্য কালামের বাসায় রেখেছিল।

আসামিরা জেনে-বুঝে অবৈধ প্রক্রিয়ায় উপার্জিত অর্থ আড়াল করার জন্য গোপনে কালামের কাছে রাখে। কালাম তা গ্রহণ করে নিজের কাছে রাখে। যা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে অপরাধ।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট জমা দেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী।

গত বছরের ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করেন আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে আদালত ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

এ বিভাগের আরো খবর