১৪ বছর বয়সে হারিয়ে যাওয়া আছিয়া খাতুন র্যাবের সহযোগিতায় ২২ বছর পর ফিরে পেয়েছে তার পরিবার ও স্বজনদের।
র্যাব-১১ এর সিপিসি-৩ নোয়াখালী ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন সোমবার রাত ১১ টার দিকে আছিয়াকে তার ভাই শহীদ উল্লাহর হাতে তুলে দেন।
আছিয়া নোয়াখালী সদর উপজেলার অশ্বদিয়া ইউনিয়নের কালাচানপুর গ্রামের মৃত ওমর আলীর মেয়ে।
র্যাব-১১ নোয়াখালী ক্যাম্পের মো. শামীম হোসেন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
আছিয়ার ভাই শহীদ উল্লাহ বলেন, ‘২০০০ সালে ১৪ বছর বয়সে আছিয়া অশ্বদিয়া ইউনিয়নের দিনমনির বাজারে আমার ফুফুর বাসা থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। আমরা অনেক খোঁজাখুঁজি করে তাকে না পেয়ে ভেবেছি বোন হয়তো মারা গেছে।
‘কিছুদিন আগে এক ব্যক্তির মাধ্যমে জানতে পারি আমার বোনের মতো দেখতে একটি মেয়ে সোনাপুর এলাকায় একটি বাসায় কাজ করে। পরে সুধারাম থানায় জিডি করি। রোববার জিডি নিয়ে র্যাব-১১ কোম্পানি কমান্ডার খন্দকার শামীম হোসেনের সঙ্গে দেখা করি। তাকে বিষয়টি জানালে তিনি আমার বোনকে উদ্ধার করে দেন।’
আছিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি ২২ বছর আগে হারিয়ে গেছিলাম। র্যাবের সহযোগিতায় পরিবারকে খুঁজে পেয়েছি। আমার অনেক খুশি লাগছে।’
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন বলেন, অভিযোগ পাওয়ার পর প্রযুক্তির মাধ্যমে সোমবার রাতে সুধারাম মডেল থানার সোনাপুর এলাকা থেকে মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়। এরপর পরিবারের কাছে তাকে দেয়া হয়েছে।