বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

এনু-রুপনের অর্থ পাচার মামলার রায় বুধবার

  •    
  • ৫ এপ্রিল, ২০২২ ১১:৫৩

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় গ্রেপ্তার এনু-রুপনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ১২টি মামলা করা হয়। মামলাগুলোর মধ্যে রাজধানীর ওয়ারী থানার মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় এনু-রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার দিন বুধবার ঠিক করা হয়েছে।

রাজধানীর গেন্ডারিয়া থানা আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি এনামুল হক এনু ও তার ভাই সাবেক যুগ্ম সম্পাদক রুপন ভূঁইয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে করা অর্থ পাচার মামলার রায় হবে বুধবার।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ইকবাল হোসেন এ রায় ঘোষণা করবেন।

ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানের সময় গ্রেপ্তার এনু-রুপনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় অবৈধ সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে ১২টি মামলা করা হয়। মামলাগুলোর মধ্যে রাজধানীর ওয়ারী থানার মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় এনু-রুপনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণার দিন বুধবার ঠিক করা হয়েছে।

গত ১৬ মার্চ রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের এই তারিখ ঠিক করে।

মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম বিষয়টি নিউজবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন।

মামলার অপর আসামিরা হলেন- মেরাজুল হক ভূঁইয়া শিপলু, রশিদুল হক ভূঁইয়া, সহিদুল হক ভূঁইয়া, জয় গোপাল সরকার, পাভেল রহমান, তুহিন মুন্সি, আবুল কালাম আজাদ, নবীর হোসেন শিকদার ও সাইফুল ইসলাম।

আসামিদের মধ্যে শিপলু, রশিদুল, সহিদুল ও পাভেল মামলার শুরু থেকে পলাতক রয়েছেন। তুহিন জামিনে আছেন। অপর ছয় আসামি কারাগারে।

রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা ১২ বছরের কারাদণ্ড প্রত্যাশা করছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শওকত আলম। তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে। কাজেই আশা করছি, আসামিরা সর্বোচ্চ সাজা পাবেন।’

আসামি পক্ষে এনু-রুপনের আইনজীবী রাজীব সরকার বলেন, ‘আসামিদের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, আসলে তা সত্য নয়। রাষ্ট্রপক্ষ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। মামলার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী সবাই প্রায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। স্বতন্ত্র সাক্ষীর অভাব পরিলক্ষিত হয়েছে মামলাটিতে। তাই তারা এই মামলা প্রমাণে ব্যর্থ হয়েছে। কাজেই আমরা প্রত্যাশা করছি আসামিরা ন্যায়বিচার ও খালাস পাবেন।’

মামলার ঘটনায় জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর ওয়ান্ডারার্স ক্লাবে ক্যাসিনো খেলা পরিচালনাকারী এনুর কর্মচারী আবুল কালাম আজাদের ওয়ারীর বাসায় অভিযান চালায় র‌্যাব। অভিযানে দুই কোটি টাকা উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় র‌্যাব-৩ এর পুলিশ পরিদর্শক (শহর ও যান) জিয়াউল হাসান ২৫ নভেম্বর ওয়ারী থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়, এনু ও রুপন দীর্ঘদিন ক্যাসিনো পরিচালনার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করে আসছেন। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানে তারা তাদের অপকর্ম আড়াল করার জন্য অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ গোপন করার জন্য কালামের বাসায় রেখেছিলেন।

মামলাটি তদন্ত করে ২০২০ সালের ২১ জুলাই ১১ জনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দেন সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ ছাদেক আলী।গত বছরের ৫ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে আদালত। মামলাটির বিচার চলাকালে অভিযোগপত্রের অন্তর্ভুক্ত মোট ২০ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে।

এ বিভাগের আরো খবর