বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টাকা নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি বরাদ্দের অভিযোগ

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২২ ২১:৪৬

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজ সরকারের মধ্যস্থতায় ৩০ হাজার টাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি বাড়ি কিনেছেন ওই গ্রামে হুসেন আলী। তার ছোট ভাই মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বড় ভাই সাবেক চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় একটি বাড়ি কিনেছেন। ভাই ঢাকায় থাকেন, তাই আমি এই বাড়িতে থাকি।’

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলায় মুজিববর্ষের উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। প্রকৃত ভূমিহীনরা বাড়ি না পেলেও সেখানে বাড়ি পেয়েছেন বিত্তশালীরা। এমনকি সেখানে টাকা দিয়ে বাড়ি বরাদ্দ নিয়ে সেগুলো বিক্রিরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

বিষয়গুলো নিয়ে খানসামা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেছেন বাড়ি বরাদ্দ না পাওয়া প্রকৃত ভূমিহীনরা।

এসব অনিয়মের প্রতিবাদে সোমবার দুপুরে খানসামা উপজেলার ভেড়ভেড়ি ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের আরাজী জাহাঙ্গীরপুর গ্রামের আশ্রয়ণ প্রকল্পের সামনের রাস্তায় ভূমিহীনরা মানববন্ধন করেছে।

তার আগে তারা বাড়ি বরাদ্দের দাবিতে আশ্রয়ণ প্রকল্পের খালি ঘরগুরোতে তালা ঝুলিয়ে দেয়।

রোববার অন্তত ৬০ জন ভূমিহীনের স্বাক্ষরসহ ইউএনও’র কাছে অভিযোগ করেন ভূমিহীনরা।

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি বরাদ্দে অনিয়ম, দুর্নীতির অভিযোগ এনে মানববন্ধন করেন স্থানীয় লোকজন। ছবি: নিউজবাংলা

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ভেড়ভেড়ি ইউনিয়ন পরিষদের তহশিদার মোকতার হোসেন টংগুয়া বাজারের সেফালী আকতারের কাছে ৪০ হাজার টাকা নিয়ে আরাজী জাহাঙ্গীপুর গ্রামে বাড়ি বরাদ্দ দিয়েছেন।

এই এলাকায় এমন বহু মানুষের কাছে টাকা নিয়ে বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। অথচ ওই গ্রামে অন্তত ১০০টি ভূমিহীন পরিবার রয়েছে।

আবু তালেব নামের এক তরুণ বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ করি। আমরা ভূমিহীনরা রোববার ইউএনও বরাবর অভিযোগ দিয়েছি।’

মরিয়ম বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘আমার কোনো ঘরবাড়ি নাই। মেম্বার আর চেয়ারম্যানের কাছে ঘুরাফেরা করতেই আছি। কিন্তু টাকা ছাড়া বাড়ি পাওয়া যায় না। আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করে খাই। আমি টাকা পাব কোথায়?’

টাকা দিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি কিনেছেন মোস্তফা শেখ। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এ গ্রামে অনেক মানুষ টাকা দিয়ে সরকারি বাড়ি কিনেছে। অনেকে বাড়ি বরাদ্দ নিয়েও থাকে না, আবার অনেকের বাইরে জমি আছে, তারাও বাড়ি পেয়েছে। অথচ গ্রামের বহু ভূমিহীন আছে। কিন্তু তারা বাড়ি পাচ্ছে না। আমি সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজ সরকারকে ১০ হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি নিয়েছি।’

সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজ সরকারের মধ্যস্থতায় ৩০ হাজার টাকায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের একটি বাড়ি কিনেছেন ওই গ্রামে হুসেন আলী। তার ছোট ভাই মোমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমার বড় ভাই সাবেক চেয়ারম্যানের মধ্যস্থতায় একটি বাড়ি কিনেছেন। ভাই ঢাকায় থাকেন, তাই আমি এই বাড়িতে থাকি।’

আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাড়ি বিক্রির সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে সাবেক চেয়ারম্যান হাফিজ সরকার নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ মিথ্যা। অভিযোগ আসতেই পারে। আপনি নিউজ করেন।’

ইউএনও রাশিদা আক্তার বলেন, ‘আমি অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে, তাদের ডাকা হবে। তারা যদি দোষী প্রমাণিত হয় তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

পরের ধাপে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ৩৫২টি বাড়ি নির্মাণ করার কথা জানান তিনি। সেখানে প্রকৃত ভূমিহীনদের বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি কঠোরভাবে তদারকি করা হবে বলে জানান তিনি।

এ বিভাগের আরো খবর