চট্টগ্রামের বোয়ালখালীতে রিজেন্ট টেক্সটাইল নামের একটি পোশাক কারখানায় বকেয়া বেতনের দাবিতে বিক্ষোভের সময় শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে পুলিশসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছিলেন শ্রমিকরা।
বোয়ালখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম নিউজবাংলাকে সংঘর্ষের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, সোমবার সকাল ৯টার দিকে কারখানার মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ ও পরে সড়ক অবরোধ করেন শ্রমিকরা। এতে সকাল থেকে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এর মধ্যে শ্রমিকদের সড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাঁধে তাদের। এতে পুলিশসহ অন্তত ১১ জন আহত হয়েছেন।
আহতরা হলেন আবু সাঈদ রুবেল, মো. মামুন, লিজা আকতার, রত্না দাশ, রিজা আক্তার, পুলিশ সদস্য মো. সজিব, গোলাম নবী, মো. মহিউদ্দীন, বৃষ্টি বড়ুয়া, হাসান মাহমুদ রুবেল ও যতীন্দ্র ত্রিপুরা।
তাদের সবাইকে বোয়ালখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপসহকারী কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার সঞ্জয় সেন।
কারখানার শ্রমিক আকবর হোসেন বলেন, ‘কোনো ঘোষণা ছাড়াই হুট করে ১৬ মার্চ কারখানা বন্ধ করে দেয় মালিক। কারখানায় কাজ করা দেড় হাজার শ্রমিকের দুই মাসের বেতন বাকি। এজন্য শ্রমিকরা আন্দোলন করলে ৩ এপ্রিল বকেয়া বেতন দিবে বলে জানায়।
‘মালিকপক্ষ আমাদের আজ (সোমবার) কাজে যোগ দিতে বলছিল। কিন্তু আমরা সকালে কারখানায় ঢুকতে চাইলে বাধা দেয়। তখন সবাই আন্দোলন শুরু করে।’
এ সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি আরও বলেন, ‘এখন রোজা চলতেছে, সামনে ঈদ। জিনিসপত্রের দামও বেশি। আমাদের বেতন না দিলে আমরা কই যাব, বউ-বাচ্চাদের কী খাওয়াবো? তাই বেতন আর না পাওয়া পর্যন্ত আমরা রাস্তা থেকে যাব না।’
ওসি আব্দুল করিম নিউজবাংলাকে বিকেলে বলেন, ‘সকাল থেকে তারা বকেয়া বেতনের দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে। আমরা তাদের সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলেও কোনো আশ্বাস না পাওয়ায় তারা সড়ক ছেড়ে যাচ্ছে না।’
সংঘর্ষের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংঘর্ষে ২/৩ জন পুলিশ সদস্য হালকা আহত হয়েছেন। তাদেরও কয়েকজন আহত হয়েছে। সবাইকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে কারখানার পরিচালক জাকারিয়া আবেদিন ছিদ্দিকীর সাথে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।