গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছেন ৬১ জন। এ নিয়ে টানা ১০ দিন শনাক্তের সংখ্যা একশর নিচে থাকল। এর আগে ২৫ মার্চ রোগী শনাক্তের সংখ্যা একশর বেশি ছিল। সেদিন ১০২ জনের দেহে এই ভাইরাস শনাক্তের খবর জানায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
এ পর্যন্ত দেশে মোট করোনা শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫১ হাজার ৮৩১ জনে।
সোমবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন। টানা চারদিন পর করোনায় ফের মৃত্যু দেখল দেশ।
এ নিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়াল ২৯ হাজার ১২৩ জনে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৭ হাজার ৭৮৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৬১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭৮, যা আগের দিন ছিল দশমিক ৮৯ শতাংশ।
গত একদিনে সুস্থ হয়েছেন ৮৪২ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ হয়েছেন ১৮ লাখ ৮৪ হাজার ৩৫২ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় শনাক্ত নতুন রোগীদের মধ্যে ৫৩ জনই ঢাকা বিভাগের। আর তাদের মধ্যে ৪৫ জনই ঢাকা জেলার।
এক সপ্তাহে রোগী কমেছে ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ
গত ২৮ মার্চ থেকে ৩ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৪৮৮ জন। আগের সপ্তাহে ৬৭৩ জন রোগী শনাক্ত হয়েছিলেন। আক্রান্তের এই সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ কম। এ সময়ে মারা গেছেন চার জন। মৃতদের সবাই করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ পেয়েছিলেন।
দেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে ২০২০ সালের ৮ মার্চ। ধীরে ধীরে সংক্রমণ বাড়তে থাকে। করোনার প্রথম ঢেউ নিয়ন্ত্রণে আসে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। একই বছরের মার্চে ডেল্টা ধরনে ভর করে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আসে। এই পর্যায়ে উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় গত জুলাইয়ে। সংক্রমণ এতটাই বেড়ে যায় যে শনাক্তের হার ৩৩ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়।
দেশে করোনার ওমিক্রন ধরন শনাক্ত হয় গত বছরের ১১ ডিসেম্বর। এরপর করোনা দ্রুতগতিতে বাড়তে থাকে। ২০ জানুয়ারি করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে প্রবেশ করে দেশ। ২৮ জানুয়ারি করোনা শনাক্ত হার ৩৩ দশমিক ৩৭ শতাংশ দাঁড়ায়, যা দেশে করোনা সংক্রমণ ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি। স্বস্তির খবর হলো, করোনার তৃতীয় ঢেউও নিয়ন্ত্রণে এসেছে।