বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

মেয়র সাদিকের ‘দখলে’ রূপাতলী বাস টার্মিনাল

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৬:৪৬

বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম বলেন, ‘রূপাতলী মিনিবাস টার্মিনাল এলাকায় শ্রমিকদের দুই পক্ষের উত্তেজনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এ নিয়ে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।’

পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলার এক দিন পর বরিশালে রূপাতলী মিনিবাস টার্মিনালে একপক্ষের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার খবর এসেছে।স্থানীয়রা বলছেন, টার্মিনাল দখলে নিয়েছে সিটি মেয়রের অনুসারীরা। এই টার্মিনাল দখল নিয়ে রোববার পাল্টাপাল্টি হামলায় অন্তত ছয়জন আহত হন।বিবদমান পক্ষগুলোর মধ্যে একটির নেতৃত্বে আছেন জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি সুলতান মাহামুদ। তিনি স্থানীয় সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুখের সমর্থক।অন্যটির নেতৃত্বে আছেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর অনুসারী পরিমল চন্দ্র দাস।রূপাতলী মিনিবাস টার্মিনাল এলাকার বাসিন্দা জগলুল হায়দার, খায়রুল আলম ও নূর বিপ্লব।জগলুল জানান, সোমবার সকালেই রূপাতলী মিনিবাস টার্মিনাল পুরোপুরি দখলে নেয় মেয়রের অনুসারীরা। তিন শতাধিক শ্রমিক ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী মোটরসাইকেল বহর নিয়ে বাসস্ট্যান্ডে আসে। বরিশাল জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস ও সাধারণ সম্পাদক আহম্মেদ শাহরিয়ার বাবুর নেতৃত্বে তাদের অবস্থান করতে দেখা যায়। একই কথা বলেন খায়রুল আলম। তিনি জানান, অতীতে দুই পক্ষের শ্রমিক নেতাদের দেখা গেলেও সোমবার শুধু মেয়রের অনুসারীদেরই দেখা গেছে টার্মিনাল চত্বরে।টার্মিনাল নিয়ে বিরোধের নেপথ্যের তথ্য তুলে ধরেন নূর বিপ্লব। তিনি বলেন, বাস টার্মিনাল দখল বা এখানে নেতৃত্ব দেয়ার বিষয়টি উঠে এসেছে টাকা ভাগবাটোয়ারা নিয়ে। টাকা কে নেবে সেই দ্বন্দ্বে শ্রমিক ইউনিয়নের একই নামে দুটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। একটি পক্ষ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুখের এবং অন্য পক্ষ মেয়র সাদিকের। তাদের কেউই এই বাস টার্মিনাল ছাড়তে নারাজ। যে কারণে দীর্ঘদিন দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি অবস্থানের পর শনিবার ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া এবং রোববার হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা ঘটে।শ্রমিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি সুলতান মাহামুদ বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই মেয়র সাদিক রূপাতলী বাস টার্মিনালের কন্ট্রোল নিতে চাচ্ছিলেন। কিন্তু আমার কারণে পারছিলেন না।‘তার অবৈধ কমিটিতে একজন ঘাট শ্রমিক ও অন্যজন থ্রি-হুইলার মালিক চালক নেতা। বাকিরা সব আশপাশের আওয়ামী লীগ নেতা। আছে কাউন্সিলর ও মহানগর আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাও।’তিনি আরও বলেন, ‘আমার ওপর পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে সাদিক। সন্ত্রাসী দিয়ে শ্রমিকদের আটকে রাখা যাবে না। আমি শ্রমিক নেতা, শ্রমিকরা আমার পক্ষে।’মেয়র সাদিকের অনুসারী জেলা বাস, মিনিবাস, কোচ ও মাইক্রোবাস শ্রমিক ইউনিয়নের (একাংশ) সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমরা কারও ওপর হামলা করিনি। অবৈধ কমিটি করে সুলতান মাহমুদের কোনো লাভ হয়নি। তাই নিজেদের ওপর নিজেরাই হামলা করে আমাদের নাম বলছে। মেয়র আমাদের ঠিকভাবে টার্মিনাল চালাতে বলেছেন যেন শ্রমিক বা যাত্রীদের সুবিধা নিশ্চিত হয়।‘টার্মিনাল এলাকায় বসে আমরা সেটাই দেখছি। আমরা ব্যস্ত আছি, বাস ঠিকভাবে চলছে কি না সেই সব বিষয় তদারক করছি। আমরা আতঙ্কিত সুলতানের সন্ত্রাসী বাহিনীর জন্য। আমাদের রামদা নিয়ে তাড়া করেছে ওরা। রূপাতলী টার্মিনাল সুষ্ঠুভাবে পরিচালনায় যা যা প্রয়োজন তাই করছি আমরা।’বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আজিমুল করিম বলেন, ‘রূপাতলী মিনিবাস টার্মিনাল এলাকায় শ্রমিকদের দুই পক্ষের উত্তেজনা দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। এ নিয়ে হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনাও ঘটেছে। আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখছি। টার্মিনাল এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন রয়েছে।’

এ বিভাগের আরো খবর