বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিসিবির কার্ডে ‘টাকা আদায়’, তদন্তে কমিটি

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২২ ১৫:৫০

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১ নম্বর ওয়ার্ডের একজন ভুক্তভোগী বলেন, ‘টিভিতে খবরে দেখছি প্রধানমন্ত্রী আমাদের কম টাকায় তেল, ডাল ও চিনি দিবে। কিন্তু আমাদের মেম্বার বলছে এগুলো পেতে নাকি জিনিসের দামসহ আরও বাড়তি দুই একশ টাকা দেয়া লাগবে। আমাদের সবার কাছ থেকে জেসমিন মেম্বার টাকাও তুলছে।’

পিরোজপুরে স্বরূপকাঠির একটি ইউনিয়নে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) ক্রেতার তালিকায় নাম ওঠাতে অর্থ আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ তদন্তে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

পরিষদের সচিব চাঁদ নারায়ন চক্রবর্তী তদন্ত কমিটির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

অভিযোগ ওঠা ইউপি সদস্যরা হলেন উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য শামছুল হক এবং সংরক্ষিত আসনের সদস্য জেসমিন বেগম। স্থানীয়দের অভিযোগ, টিসিবির তালিকায় নাম তুলতে নিম্নআয়ের মানুষের কাছ থেকে ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করছেন তারা।

মার্চ থেকে সারা দেশে স্বল্প আয়ের এক কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ড দেয়ার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। তাদের কাছে কম মূল্যে তেল, ছোলা, চিনি, খেজুর ও মসুর ডাল বিক্রি করা হচ্ছে।

জানা গেছে, স্বরূপকাঠির বলদিয়া ইউনিয়নের ১ হাজার ৭৮১টি পরিবারের মধ্যে এই ফ্যামিলি কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রফিকুল ইসলাম ও সংরক্ষিত আসনের সদস্য জেসমিন বেগম টিসিবির তালিকায় নাম তোলার বিনিময়ে অর্ধশত পরিবারের কাছ থেকে ১০০-২০০ টাকা আদায় করেছেন। একই অভিযোগ পাশের ৭ নম্বর ওয়ার্ডেও। এ ওয়ার্ডের সদস্য শামছুল হক নিচ্ছেন ৫০-১০০ টাকা পর্যন্ত।

রফিকুল ও জেসমিন টাকা আদায়ের বিষয়টি স্বীকার করলেও অস্বীকার করেছেন শামছুল হক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে ১ নম্বর ওয়ার্ডের একজন ভুক্তভোগী বলেন, ‘টিভিতে খবরে দেখছি প্রধানমন্ত্রী আমাদের কম টাকায় তেল, ডাল ও চিনি দিবে। কিন্তু আমাদের মেম্বার বলছে এগুলো পেতে নাকি জিনিসের দামসহ আরও বাড়তি দুই একশ টাকা দেয়া লাগবে। আমাদের সবার কাছ থেকে জেসমিন মেম্বার টাকাও তুলছে।’

আরেক ভুক্তভোগী বলেন, ‘দুই কেজি চিনি, দুই কেজি ডাল ও দুই লিটার তেল আনতে ৪৬০ টাকার সঙ্গে আরও বাড়তি ২০০ টাকা দিছি। এটা এখানকার রফিক মেম্বার ও জেসমিন মেম্বার নিছে। তারা কোনো টাকা ফেরত দেয়নি।’

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি সদস্য রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘চেয়ারম্যানের নির্দেশে টাকা ফেরত দেয়া হয়েছে। আমি কোনো টাকা তুলিনাই। এর সঙ্গে আমি জড়িত না।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত জেসমিন বেগম বলেন, ‘খরচ বাবদ কিছু টাকা তোলা হয়েছিল। পরে বিভিন্ন ঝামেলার কারণে সেটি ফেরত দেয়া হয়েছে। তবে জনপ্রতি ২০০ টাকা উঠানো হয়নি।’

৭ নম্বর ওয়ার্ডের শামছুল হক বলেন, ‘কার্ড দিতে কোনো টাকা নেয়া হচ্ছে না। শুধু পণ্যের দাম ৪৬০ টাকার বাইরে কারও কাছ থেকে কোনো টাকা নেয়া হয় না।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে ইউপি কার্যালয়ে গেলে চেয়ারম্যান সাইদুর রহমানকে পাওয়া যায়নি। তবে পরিষদের সচিব চাঁদ নারায়ন চক্রবর্তী বলেন, ‘অভিযোগ তদন্তে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আগামি ৭ দিনের মধ্যে তদন্ত করে ব্যবস্থ নেয়ার জন্য উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হবে।’

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোশারেফ হোসেন বলেন, ‘আমি ফেসবুকের মাধ্যমে বিষয়টি জানতে পেরেছি। ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করে দেখার জন্য নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। অভিযোগ পেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

এ বিভাগের আরো খবর