বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

টিপ পরায় হেনস্তা: সেই পুলিশ চিহ্নিত

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২২ ১১:৩৩

ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জড়িত পুলিশ সদস্য প্রটেকশন বিভাগে ছিলেন, যারা ভিআইপি, ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় থাকেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

টিপ পরায় কলেজ শিক্ষকাকে হেনস্তা ও হত্যাচেষ্টার ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে।

ওই কনস্টেবলের নাম নাজমুল তারেক। তিনি পুলিশের প্রটেকশন বিভাগে দায়িত্ব পালন করছিলেন।

ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন মার্কেটে দোকানের সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ বিশ্লেষণ করে নাজমুলকে শনাক্ত করা হয়। সোমবার সকালে তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের কর্মকর্তারা।

এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উৎপল বড়ুয়া।

ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘জড়িত পুলিশ সদস্য প্রটেকশন বিভাগে ছিলেন, যারা ভিআইপি, ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় থাকেন। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

কপালে টিপ পরে হেঁটে যাওয়ার সময় রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় লাঞ্ছিত ও হত্যাচেষ্টার মুখোমুখি হয়েছেন অভিযোগ করে শেরেবাংলা নগর থানায় জিডি করেন কলেজ শিক্ষকেরা ড. লতা সমাদ্দার। তিনি রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের থিয়েটার অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক।

অভিযোগে লতা বলেন, এক পুলিশ সদস্য তাকে উত্ত্যক্ত করেন। প্রতিবাদ করলে তাকে মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে হত্যাচেষ্টাও করেন সেই ব্যক্তি।

পুলিশ সদস্যের দেহের গড়ন বলতে পারলেও তার নাম জানাতে পারেননি ওই শিক্ষকা।

ড. লতা সমাদ্দার অভিযোগে উল্লেখ করেন, শনিবার সকালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসা থেকে রিকশায় আনন্দ সিনেমা হলের সামনে নামেন। সেখান থেকে হেঁটে কর্মস্থল তেজগাঁও কলেজের দিকে যাচ্ছিলেন।

সেজান পয়েন্টের সামনে একজন পুলিশের পোশাক পরা (মোটরবাইক নং ১৩৩৯৭০) ব্যক্তি পার্ক করে রাখা মোটরসাইকেলে বসে ছিলেন। পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় কলেজ শিক্ষকোর কপালের টিপ নিয়ে টিজ করেন ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ওই ব্যক্তি।

তিনি অভিযোগে আরও বলেন, পেছনে ফিরে গিয়ে আচরণের প্রতিবাদ করলে আবারও গালিগালাজ করেন ওই পুলিশ। পরে গাড়ি স্টার্ট দিয়ে শিক্ষকের গায়ের ওপর চালিয়ে দিয়ে হত্যার চেষ্টা করেন পুলিশ সদস্য। ওই সময় তিনি বাইকের নিচে পড়ে গিয়ে আঘাত পান।

লতা সমাদ্দার তার অভিযোগে ওই পুলিশের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘তার মুখে দাঁড়ি আছে, তিনি মোটা এবং অনুমান করতে পেরেছি তিনি মধ্যবয়সী।’

ওই শিক্ষকা রাস্তার অপর পাশে দাঁড়িয়ে থাকা তিন ট্রাফিক পুলিশকে বিষয়টি জানালে তারা তাকে থানায় অভিযোগের পরামর্শ দেন।

এ বিভাগের আরো খবর