বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

অভিযুক্ত পুলিশকে গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম

  •    
  • ৪ এপ্রিল, ২০২২ ০০:৫০

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের আসল চরিত্রকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে একটি অংশ নারী পুরুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে দেশকে নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আমাদের সরকার, প্রশাসন এগুলোকে মদদ দিচ্ছে।’

টিপ পরা নিয়ে তেজগাঁও কলেজ শিক্ষককে লাঞ্ছিত করা সেই পুলিশ সদস্যকে বরখাস্ত করে গ্রেপ্তার দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেয়া হয়েছে।

রোববার বিকেলে শাহবাগ জাতীয় জাদুঘরের সামনে ‘নিপীড়নের বিরুদ্ধে শাহবাগ’ প্ল্যাটফর্মের ব্যানারে আয়োজিত এক মানববন্ধন থেকে এই আল্টিমেটাম দেয়া হয়।

তেজগাঁও কলেজ শিক্ষক লতা সমাদ্দারকে লাঞ্ছিত করা সেই পুলিশ সদস্যের শাস্তির দাবিতেই এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। আয়োজক প্ল্যাটফর্মটির অন্যতম সংগঠক রবিন আহসান বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই পুলিশ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা না হলে তেজগাঁও থানার সামনে গণ-অবস্থান কর্মসূচি পালন করা হবে।’

এ সময় প্রগতিশীল নারী সমাজকেও এই কর্মসূচিতে যোগ দেয়ার আহ্বান জানান রবিন।

আরেক সংগঠক আকরামুল হক বলেন, ‘জনযুদ্ধের মধ্য দিয়ে অর্জিত যে রাষ্ট্র ছিল, সেটি হারিয়ে গেছে। এটাই বাস্তবতা। এখন আমরা যে রাষ্ট্রে বসবাস করছি সেটা স্বপ্নের কঙ্কাল মাত্র। এ কথাটি ক্ষমতাসীনরা স্বীকার করতে চান না। আর সে জন্যই তারা মৌলবাদের সঙ্গে আঁতাত করে। হেফাজতকে গণভবনে আমন্ত্রণ করে।’

তিনি আরও বলেন, ‘৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সেই ভদ্র মহিলাকে যে হয়রানি করেছে তাকে গ্রেপ্তার করতে হবে। অন্যথায় আমরা তেজগাঁও থানার সামনে অবস্থান করব।’

মাহফুজা হক মিনা বলেন, আমি টিপ পরি বা না পরি সেটা আমার অধিকার। কিন্তু আমার বলবার অধিকার নেই- আপনি টিপটা খুলুন। আমার তো মনে হচ্ছে আগামীকাল আমাকে কেউ বলবে শাড়ি কেন পরেছেন? শাড়ি আমাদের সংস্কৃতি না। হয়তো শিগগিরই এই কথাটা আমাদের শুনতে হবে। টিপ পরা আমাদের সংস্কৃতি। আমরা চাই আমাদের সংস্কৃতি জাগ্রত থাকুক।’

সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের সভাপতি মুক্তা বাড়ৈ বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের আসল চরিত্রকে ধূলিসাৎ করে দিয়ে একটি অংশ নারী-পুরুষের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করে দেশকে নষ্ট করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আমাদের সরকার, প্রশাসন এগুলোকে মদদ দিচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘তারা বলছে এটি আমাদের সংস্কৃতি না। এটি ঠিক হতে পারে। কিন্তু এটি বাঙালি সংস্কৃতি। সবার আগে আমরা প্রথমে বাঙালি, এরপর যার যার ধর্ম। এই সংস্কৃতি আমরা মরতে দেব না। এই পতাকা আমরা ঊর্ধ্বে তুলে ধরব।’

বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টির বিজ্ঞানবিষয়ক সম্পাদক কাজী সালমা সুলতানা বলেন, ‘নারী হেনস্তার বিষয়টির শুরু কিন্তু আজ নয়। শুরু হয়েছিল যখন হেফাজত নেতা নারীদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করেন এবং নারী শিক্ষা বন্ধের দাবি জানান। এরপর আমরা দেখেছি, সেই জনসভায় একজন সাংবাদিককে নিগৃহীত হতে। তারপরে আমরা দেখেছি তার সমর্থকরা নারী বিদ্বেষী হয়ে উঠেছে। তারা এমন নারী বিদ্বেষী হয়ে উঠেছে যে, তারা মুক্তমনা পুরুষদেরও শত্রু মনে করছে। তাদের এই কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতার বিপরীতে সাংস্কৃতিক বিপ্লব না হলে বাংলাদেশ অনেকটা পেছনে পড়ে যাবে।’

যুব ইউনিয়নের সাবেক সাধারণ সম্পাদক খান আসাদুজ্জামান মাসুমের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে অন্যদের মাঝে আরও বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল, ছাত্র ইউনিয়নের সাবেক সহসভাপতি বিকাশ সাহা, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক সাহেল আহমেদ, নারী পক্ষের সংগঠক মনিষা মজুমদার, গণসঙ্গীত শিল্পী শতাব্দী ভব, অ্যাডভোকেট জীবনানন্দ জয়ন্ত প্রমুখ।

এ বিভাগের আরো খবর