বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

সেই পুলিশ সদস্যকে এখনও শনাক্ত করা যায়নি

  •    
  • ৩ এপ্রিল, ২০২২ ২০:৫৮

‘আমরা অনেকগুলো সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি, বিশ্লেষণ করেছি, তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা যায়নি। ওই ফুটেজগুলো দেখে কিছু বোঝা যায় না। তবে আমরা আরও কিছু ফুটেজ সংগ্রহ করেছি, সেগুলো থেকে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে।’

তেজগাঁও কলেজের মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দারকে হেনস্তাকারী পুলিশ সদস্যকে এখনও শনাক্ত করতে পারেনি শেরেবাংলা নগর থানা পুলিশ। আশপাশের কিছু ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ওই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তারা।

ঘটনাস্থলে মেট্রোরেলের কাজ চলমান থাকায় সেখানে ডিএমপির কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপিত হয়নি। এ জন্য ঘটনাস্থলের পরিষ্কার চিত্র পাওয়া যায় এমন কোনো ফুটেজ এখনও পুলিশের হাতে আসেনি। তারা ইতোমধ্যে আশপাশের মার্কেট ও দোকানের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছে। তবে সেসব ফুটেজে ঘটনা সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়নি।

আরও কিছু ফুটেজ বিশ্লেষণ চলছে, এগুলো দেখে রোববার রাতের মধ্যে ওই পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা সম্ভব হতে পারে বলে নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উৎপল বড়ুয়া।

তিনি বলেন, ‘আমরা অনেকগুলো সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করেছি, বিশ্লেষণ করেছি, তবে এখন পর্যন্ত অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যকে শনাক্ত করা যায়নি। ওই ফুটেজগুলো দেখে কিছু বোঝা যায় না। তবে আমরা আরও কিছু ফুটেজ সংগ্রহ করেছি, সেগুলো থেকে আরও স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। এগুলো যাচাই করা চলছে। আশা করি রাতের মধ্যে আমরা একটা লিড পাব।’

প্রভাষকের বর্ণনা অনুযায়ী ঘটনাস্থল হলো ফার্মগেট চৌরাস্তা থেকে ইন্দিরা রোডের দিকে যেতে সেজান পয়েন্ট মার্কেটের সামনের দিকের মূল সড়ক। এখানে মেট্রোরেলের কাজ চলমান। এ জন্য ডিএমপির কোনো সিসিটিভি ক্যামেরা এখানে স্থাপন করা হয়নি। মেট্রোরেলের কাজ শেষ হলে এখানে ক্যামেরা বসবে। পুলিশ বলছে, সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় ঘটনাস্থলের সুস্পষ্ট ধারণা মিলছে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের একজন কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এই স্পটে আমাদের কোনো ক্যামেরা নেই। এ জন্য আশপাশের মার্কেট ও দোকান থেকে ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। তবে সমস্যা হলো, ঘটনাস্থল আর সেজান পয়েন্ট মার্কেটের মাঝে আরও একটি রাস্তা চলে গেছে, যেখানে অনেক হকার বসে এবং মানুষের ভিড় থাকে। এ জন্য ফুটেজগুলোয় ঘটনাস্থলের চিত্র খুব একটা বোঝা যাচ্ছে না।

‘আমরা ধারাবাহিকভাবে যত সিসিটিভি ফুটেজ আছে সব সংগ্রহ করেছি। আমরা এটা বের করার চেষ্টা করছি, ওই সময়ের মধ্যে ভিকটিমের বর্ণনার সঙ্গে মেলে এমন কোনো পুলিশ সদস্য মোটরসাইকেল নিয়ে যাচ্ছে কি না। এটা বের হলেই তার গতিপথ ধরে তাকে শনাক্ত করা যাবে।’

অন্যদিকে ভুক্তভোগী শিক্ষক যে মোটরসাইকেল নম্বর দিয়েছিলেন, তার সূত্র ধরে দুটি মোটরসাইকেল পেয়েছে পুলিশ। তবে এর মধ্যে কোনোটিই কোনো পুলিশ সদস্যের নয় বলে নিশ্চিত হয়েছেন তারা। এখন একমাত্র সিসিটিভি ফুটেজই পারে ওই অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যের পরিচয় নিশ্চিত করতে– এমনটাই মনে করেছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা।

এ বিভাগের আরো খবর