বিএনপি-জামায়াতের ষড়যন্ত্রে দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন যুবলীগের শেখ ফজলে শামস পরশ।
তিনি বলেছেন, ‘আপনারা জানেন যে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করতে চাচ্ছে এবং করছে। তাদের একটা বড় ইস্যু হচ্ছে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি। আপনারা একটু যাচাইবাছাই করে দেখেন এই দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে হোতা কারা?
‘বেশিরভাগ ব্যবসায়ীরা তাদের অতীত ইতিহাস কী? তাহলে বুঝতে পারবেন এর পেছনে বিএনপির হাত আছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিতে বিএনপি-জামাতের কারসাজি এবং ষড়যন্ত্র রয়েছে। যুবলীগ নেতাকর্মীদের জামাত-বিএনপির ষড়যন্ত্রের বিষয়ে সজাগ ও সচেতন থাকতে হবে।’
রোববার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের দলীয় কার্যালয়ে আওয়ামী যুবলীগের উদ্যোগে পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে মাসব্যাপী অসহায় ও দুঃস্থদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনের সময় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ পরশ বলেন, ‘শেখ হাসিনা কখনই চান না, কোনো অপশক্তি বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করুক। এটা কেউ করতেও পারবে না। শেখ হাসিনা এদেশকে একটা সফল, সার্থক, মর্যাদাশীল ও আত্মনির্ভরশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলবেন।
‘সেক্ষেত্রে আমাদের যুবলীগের নেতাকর্মীদেরও অনেক কাজ রয়েছে। আমাদের অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এদেশকে সমৃদ্ধশালী এবং উন্নতশীল রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তুলতে এবং সামনের দিকে এগিয়ে নিতে যুবলীগই ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।’
অনুষ্ঠানে যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, ‘আমাদের প্রিয়নেত্রী যেভাবে আমাদেরকে নির্দেশনা দিয়েছেন, আমরা যেন সেভাবেই কাজ করি। আপনারা লক্ষ্য রাখবেন আপনার প্রতিবেশির প্রতি, কেউ যদি কষ্টে থাকে তাকে সাহায্য করবেন।’
সংগঠনের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা জানেন এক ধরনের অসাধু ব্যবসায়ীরা এই রমজান উপলক্ষে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষকে কষ্ট দিচ্ছে। আপনারা দেখবেন অসাধু ব্যবসায়ীদের অতীত ইতিহাস, তারা জামাত-বিএনপির সঙ্গে জড়িত। যারা এই রমজান মাসে দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি করে তাদেরকে ব্যবসায়ী বলা যায় না। তারা এই সমাজের সবচেয়ে ঘৃণিত ব্যক্তি। তারা সরকারকে বিব্রত করার চেষ্টা করছে। আপনারা তাদেরকে প্রতিহত করুন।’
নিখিল বলেন, ‘আমাদের প্রিয় নেত্রীর ওপর আল্লাহর রহমত আছে বলেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এখন কিছুটা কম। বৈশ্বিক সমস্যার কারণে দ্রব্যমূল্যের যে বৃদ্ধি সেটি তাড়াতাড়িই কমে আসবে। এ লক্ষ্যে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই যুবলীগ মানবতার যুবলীগ, এই যুবলীগ মানুষের কল্যাণে কাজ করবে। এখানে কোনো দখলদার, চাঁদাবাজের স্থান হবে না। যদি কেউ যুবলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি করার চেষ্টা করে তাহলে তার বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এ্যাড. মামুনুর রশীদ, মো. রফিকুল ইসলাম, নবী নেওয়াজ, মো. মোয়াজ্জেম হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার মৃণাল কান্তি জোদ্দার, তাজউদ্দিন আহমেদ, জসিম উদ্দিন মাতুব্বর ও আনোয়ার হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বিশ্বাস মতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, বদিউল আলম ও রফিকুল আলম জোয়ার্দার সৈকত, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, মশিউর রহমান চপল এবং কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দীসহ অনেকে।