বাংলাদেশ

মতামত

খেলা

বিনোদন

জীবনযাপন

তারুণ্য

কিড জোন

অন্যান্য

রেস-জেন্ডার

ফ্যাক্ট চেক

স্বাস্থ্য

আন্তর্জাতিক

শিক্ষা

অর্থ-বাণিজ্য

বিজ্ঞান-প্রযুক্তি

ঢাকায় ৪ শতাংশের বেশি বাড়িতে এডিস লার্ভা

  •    
  • ৩ এপ্রিল, ২০২২ ১৯:৩৭

ঢাকায় কী পরিমাণ এডিস মশার লার্ভা রয়েছে বা এ ধরনের মশা কী পরিমাণ জীবাণু বহন করছে তা জানতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জরিপ পরিচালনা করছে। জরিপের ৯ দিনের তথ্য বলছে, রাজধানীর ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ বাড়িতে এডিসের লার্ভা মিলেছে। গত বছর তা ছিল ৩ শতাংশ।

রাজধানীতে গত বছরের তুলনায় এবার এডিস মশার লার্ভার অস্তিত্ব বেশি মিলছে। এক জরিপে নগরীতে চার শতাংশের বেশি বাড়িতে এই লার্ভার অস্তিত্ব মিলেছে, যা গত বছরের চেয়ে বেশি। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে এখনই সতর্ক না হলে এ বছর ডেঙ্গুর প্রকোপ আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।

ঢাকায় কী পরিমাণ এডিস মশার লার্ভা রয়েছে বা এ ধরনের মশা কী পরিমাণ জীবাণু বহন করছে তা জানতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি জরিপ পরিচালনা করছে। জরিপটি ২৫ মার্চ শুরু হয়েছে। ৯ দিনের তথ্য বলছে, রাজধানীর ৪ শতাংশের বেশি বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা মিলেছে। গত বছর ৩ শতাংশ বাড়িতে লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল।

জরিপটি পরিচালনা করতে ২১ জন কীটতত্ত্ববিদের সমন্বয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর একটি টিম গঠন করেছে। প্রথম ৯ দিনে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটির ৯৮টি ওয়ার্ডের তথ্য সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। তিন হাজার বাড়িতে গিয়ে এ তথ্য সংগ্রহের পরিকল্পনা রয়েছে গবেষক দলের।

শনিবার পর্যন্ত মোট মোট ২ হাজার ৫২০টি বাড়ির তথ্য নেয়া সম্ভব হয়েছে। এর মধ্যে ১১৪টি বাড়িতে এডিসের লার্ভা পাওয়া গেছে, যা ৪ দশমিক ২৫ শতাংশ। এই পরিমাণ এডিস মশার লার্ভা পাওয়াটা উদ্বেগজনক- বলছেন বিশেষজ্ঞরা।

জরিপটিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর টিমের প্রধান সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক কবিরুল বাশার। তিনি নিউজবাংলাকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত যা পাওয়া গেছে তাতে বলা যায় যে এবার অন্যান্য বছরের তুলনায় এডিস মশার ঘনত্ব বেশি। জরিপটি মাত্রই শেষ হল। কোন কোন এলাকায় এডিসের ঘনত্ব বেশি তা জানতে আমাদেরকে আরেকটু অপেক্ষা করতে হবে।’

তিনি বলেন, ‘এখেই নগরবাসী সচেতন না হলে এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়বে। কারণ করোনাভাইরাস সংক্রমণের দীর্ঘ সময়টাতে বিভিন্ন ধরনের নির্মাণ কাজ বন্ধ ছিল। সেগুলো আবার শুরু হয়েছে। সে কারণে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে এবার ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়বে।’

মশা নিয়ে জরিপের সময় পরিদর্শন করা মোট বাড়ির মধ্যে কতগুলোতে লার্ভা পাওয়া যায় তা হাউজ ইনডেক্সের মাধ্যমে বোঝানো হয়। আর মশার লার্ভার উপস্থিতি হিসাব করা হয় ব্রুটো ইনডেক্স বা সূচকের মাধ্যমে। জরিপে লার্ভা পাওয়ার এই হার গত বছরের এই সময়ের চেয়ে কিছুটা বেশি। গত বছর ৩ শতাংশ বাড়িতে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছিল।

অধ্যাপক কবিরুল বাশার বলেন, ‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রাক-মৌসুম এডিস মশার ঘনত্ব গত বছরের এই সময়ের তুলনায় বেশি। বৃষ্টিপাত শুরু হলে এই ঘনত্ব আরো বাড়বে। আর ঘনত্ব বাড়লে ডেঙ্গু পরিস্থিতি খারাপ হতে পারে। তাই এই মুহূর্তে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে অভিযান পরিচালনা করা উচিত। মশা নিয়ন্ত্রণে সিটি করপোরেশনের সঙ্গে জনগণকেও সম্পৃক্ত হতে হবে।’

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক নাজমুল বলেন, ‘রিপোর্টটা আমরা দ্রুত শেষ করে উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে দেব। তাহলে তারা জায়গাগুলো টার্গেট করে মশক নিধন কার্যক্রম চালাতে পারবে।’

এ বিভাগের আরো খবর